মহিউদ্দিন মুরাদ: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম এক ব্যক্তি মারা গেছেন। গত ১২ এপ্রিল রামগঞ্জে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গিয়েছিলেন, পরে নমুনা পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রামে পাঠানো হলে করোনা পজিটিভ আসে।
বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন অফিস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, এদিন আসা করোনা রিপোর্টে ৪ জনের মধ্যে তিনজনের নেগেটিভ আসে। এর মধ্যে সদর উপজেলার চররুহিতার একজন পুরুষ ব্যক্তি করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। এ নিয়ে মৃত ব্যক্তিসহ লক্ষ্মীপুর জেলায় কভিড-১৯ এ আক্রন্তের সংখ্যা ২৭ এ পৌঁছালো। বর্তমানে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন ২৬ জন। এর মধ্যে সদরে ৮ জন, কমলনগরে ১৫ জন এবং কমলনগরে আরও ৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের অধিকাংশ স্থানীয় করোনা ট্রিটমেন্ট সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, বাকিরা ঢাকা কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে আছেন।
বিভিন্ন প্রস্তুতি বিষয়ে জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল জানান, জেলায় আইসোলেশন শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে এক’শ বেডের। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৪০টি বেড, রামগঞ্জ, কমলনগর উপজেলায় ২০টি করে ৬০টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ট্রিটমেন্ট শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৪৫টি। এর মধ্যে সদর ৩০টি এবং অপর তিন উপজেলায় ৫টি করে।
তবে এসব শয্যা আগামী দিনের জন্য খুবই অপ্রতুল বলে জেলাবাসী মনে করে। গত ২৪ ঘন্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে দু’জনকে, এ পর্যন্ত মোট চারজন। লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল কমপ্লেক্সে করোনা ট্রিটমেন্ট সেন্টারে ৭ জন, রামগঞ্জ ইউএইচসিতে ১২জন, কমলনগর উপকূল করোনা আইসোলেটেড সেন্টারে ৩ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে জেলার বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে। তবে এখনো অনেক সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনাবোধ সৃষ্টি হয়নি। যার ফলে বিভিন্ন হাটবাজার, কাঁচাবাজার পাড়া মহল্লা গ্রামাঞ্চলে মানুষ শরীর থেকে কমপক্ষে তিনফুট সামাজিক দূরত্ব মানছে না। হাটবাজার, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে জটলা করছে। তবে আইন শৃংখলা বাহিনী পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী, আনসার ব্যাটালিয়ন এ ব্যাপারে মাঠে তৎপর রয়েছে।