Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

করোনাভাইরাস: বন্ধ থাকছে ধানমন্ডির অরচার্ড পয়েন্ট

রোববার থেকে সীমিত আকারে শপিংমলসহ সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে সরকারের পক্ষ থেকে অনুমতি দেয়া হলেও করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির কথা চিন্তা করে ধানমন্ডির অরচার্ড পয়েন্ট শপিংমলটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

শনিবার রাতে অরচার্ড পয়েন্ট শপিং সেন্টারের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনোয়ারুল হক সোহাগ বিষয়টি চ্যানেল আই অনলাইনকে নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, রোববার থেকে সরকার শপিংমল খোলার নির্দেশ দিলেও নিজেদের নিরাপত্তার পাশাপাশি ক্রেতাদের নিরাপত্তার ইস্যুও আমাদের নজরে রাখতে হয়। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয় এবং করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় অরচার্ড পয়েন্ট না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। রাতে আমরা শপিংমল খোলার বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করি। বৈঠকে ব্যবসার জন্য বর্তমান সময়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময় হলেও ঈদের আগে দোকান খোলার বিষয়ে একমত হতে পারিনি।

এর আগে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনায় নিয়ে রাজধানী ও দেশের প্রধান বড় দুই শপিং কমপ্লেক্স বসুন্ধরা সিটি ও যমুনা ফিউচার পার্ক এবং এর পরপরই ঢাকা নিউ মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

একই কারণে আপাতত মার্কেট না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেট, মৌচাক মার্কেট ও আনারকলি মার্কেট, মোতালেব প্লাজা। একই সঙ্গে এ সময় দেশের সব সোনার দোকানও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি।

সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষযটিতে গুরুত্ব দিয়ে রাজধানীর গুলিস্তান-ফুলবাড়িয়া সব পাইকারি মার্কেট বিশেষ করে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স, এনেক্সকো টাওয়ার, মহানগর কমপ্লেক্স, ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট, সুন্দরবন সুপার মার্কেট, জাকির প্লাজা, নগর প্লাজা, সিটি প্লাজা, গুলিস্তান পুরান বাজার, বঙ্গ ইসলামিয়া সুপার মার্কেটও বন্ধ থাকবে।

গত ২৪ মার্চ থেকে সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এসময় হাসপাতাল, ফার্মেসি ও জরুরি সেবা বাদে অন্য সকল ধরণের প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়। গার্মেন্টস মালিকদের দাবির মুখে ও দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে গার্মেন্টস খুলে দেয় সরকার।

এসময় বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির পক্ষ থেকে সরকারের কাছে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির দিক বিবেচনা করে দোকান ও শপিং মল খুলে দেয়ার দাবি জানানো হয়।

গত ৪ মে সরকারের পক্ষ থেকে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দোকান ও শপিং মল খোলা রাখার অনুমতি দিলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন ব্যবসায়ীরা।

Exit mobile version