চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

করোনাভাইরাস: দেশে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৯৬৯, মৃত ১১

দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ৬৬তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৬৯ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারী করোনাভাইরাস আরও ১১ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। নতুন করে সুস্থ হয়েছেন আরও ২৪৫ জন।

মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ছয় হাজার ৮৪৫ টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ছয় হাজার ৭৭৩ টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো এক লাখ ৩৬ হাজার ৬৩৮টি।

ডা. নাসিমা সুলতানা জানান: নতুন যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে তার মধ্যে আরও ৯৬৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ফলে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ হাজার ৬৬০ জনে। মহামারী করোনাভাইরাস নতুন করে আরও ১১ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। ফলে মোট মৃত্যু সংখ্যা ২৫০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ২৪৫ জন। সব মিলিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিন হাজার ১৪৭ জন।

তিনি বলেন, নতুন করে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে সাত জন পুরুষ ও তিনজন নারী। তিনজন পঞ্চাশোর্ধ্ব, পাঁচজন ষাটোর্ধ্ব, দুজন সত্তরোর্ধ্ব এবং একজন ৮০ থেকে ৯০ বছর বয়সী।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে করোনার বিস্তার রোধে সবাইকে বাড়িতে থাকার এবং স্বাস্থ্য বিভাগেরপরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।

চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত সাড়ে ৪২ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন দুই লাখ ৮৭ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৫ লাখের বেশি মানুষ।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে এ ছুটি ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পরে এ ছুটির মেয়াদ ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে চতুর্থবারের মতো ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। দেশবাসীকে নিজ বাড়িতে থাকার আহ্বান জানানো হয়। পরে সেটাও বাড়ানো হয় ৫ মে পর্যন্ত। পরে পঞ্চমবারের মতো করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ১৬ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার।

ছুটির সময়ে অফিস-আদালত থেকে গণপরিবহন, সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, জরুরি সেবা এই বন্ধের বাইরে থাকছে। জনগণকে ঘরে রাখার জন্য মোতায়েন রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীও।