Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

করোনাভাইরাস: টাঙ্গাইলে প্রবেশপথ বন্ধের ঘোষণা কেউ মানছে না

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি রোধে মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে টাঙ্গাইলে প্রবেশের সব পথে চেকপোস্ট বসিয়ে বন্ধ ঘোষণা করলেও জেলা প্রশাসনের ওই নির্দেশনা আমলে নিচ্ছে না জনগণ।

জেলার ভূঞাপুর, ঘাটাইল, কালিহাতী ও টাঙ্গাইল সদরের বিভিন্ন প্রবেশ পথে ঘুরে দেখা গেছে একই চিত্র। কোথাও প্রবেশপথ বন্ধে স্থায়ী চেকপোস্ট। নানা পরিবহনে করে অবাধেই যাতায়াত করছেন সাধারণ মানুষ। মহাসড়কেও দেখা গেছে পণ্যবাহী ট্রাকে ঢাকা ফেরত মানুষের চাপ।

অনেকের সাথে কথা বললে তারা জানান, নারায়ণগঞ্জ লকডাউন ঘোষণার পর বিভিন্নভাবে পালিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন তারা।

তবে কিছুটা ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে পৌর শহর এলাকায়। পৌর শহরে প্রবেশ করতে পড়তে হচ্ছে পুলিশি প্রশ্নের মুখে। যুক্তিসঙ্গত কারণ না দেখাতে পারলে কাউকেই দিচ্ছে না শহরে প্রবেশের অনুমতি।

অন্যদিকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নারায়ণগঞ্জ ফেরত এক ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই এলাকার ত্রিশটি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন।

আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য ঢাকার কুয়েতমৈত্রী হাসপাতালে প্রেরণ করেছে কর্তৃপক্ষ। ওই ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জের একটি ক্লিনিকে কাজ করতেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তি করোনা উপসর্গ নিয়ে গত চার পাঁচদিন আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে এলাকায় আসেন। এসেই তিনি অবাধে পরিবারের সাথে মেলামেশা ও বাজারঘাটে ঘুরে বেড়ান। এসময় তাকে ও তার পরিবারকে বাধা দিলেও গুরুত্ব দেয়নি তারা। উল্টো স্থানীয়দের অশোভন আচরণ করেছেন। পরে প্রশাসনে অভিযোগ জানালে তিনি প্রথমে পালিয়ে যান। এরপর স্থানীয়দের চাপে রক্তের নমুনা দিতে পরিবার তাকে রাজী করান।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াহীদুজ্জামান বলেন, সোমবাার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে আজ রাতে ফোন করে জানানো হয় ওই ব্যক্তির করোনা পজেটিভ এসেছে। আজ বুধবার এ রির্পোটটি হাতে পাবো।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল মালেক জানান, ওই গ্রামের একটি পাড়া লকডাউন করা হয়েছে সেখানে প্রায় ৩০টি পরিবার রয়েছে । ওই এলাকা থেকে কেউ বের হতে পারবে না আবার কেউ প্রবেশও করতে পারবে না।

তিনি আরও জানান: ওই ব্যক্তিকে এ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

Exit mobile version