Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

করোনাভাইরাস কেড়ে নিলো আরও ২১ জনের প্রাণ

করোনাভাইরাস

দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ৩১৫তম দিনে নতুন মৃত্যু হয়েছে আরও ২১ জনের। গতকাল এ সংখ্যা ছিল ১৩ জন।

শনাক্তের হার কমে হয়েছে ৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ। যা গতকাল ছিল ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ। নতুন করে নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছে ৫৭৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ৬৩৩ জন।

শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা সাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮ পর্যন্ত নতুন করে ১২ হাজার ২১২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়।আগের কিছু নিয়ে নমুনা পরীক্ষা (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) করা হয়েছে ১২ হাজার ২১৫টি নমুনা। সরকারী ব্যবস্থাপনায় ২৭ লাখ ৮ হাজার ৮৭৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। অন্যদিকে বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় ৭ লাখ ৩৫ হাজার ১৩২টি পরীক্ষা করা হয়েছে।

এ নিয়ে দেশে মোট ৩৪ লাখ ৪৪ হাজার ৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হলো। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় নতুন করে শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ৫৭৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত ৫ লাখ ২৭ হাজার ৬৩ জন। মোট পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৩০ শতাংশ।

নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন ২১ জন। এদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ ও ৮ জন নারী। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৭ হাজার ৮৮৩ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

মৃতদের মধ্যে সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত পুরুষ ৫ হাজার ৯৭৬ জন মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭৫ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং ১ হাজার ৯০৭ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা ২৪ দশমিক ১৯ শতাংশ।

তবে এ সময়ে সুস্থ হয়েছেন আরও ৬৩৩ জন। সবমিলিয়ে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ৪ লাখ ৭১ হাজার ৭৫৬ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৫১ শতাংশ।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নতুন করে করোনায় মৃত ২১ জনের মধ্যে এগারো থেকে বিশ বয়সী ১ জন, ত্রিশোর্ধ্ব ১ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ৩ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ১২ জন রয়েছেন।

বিভাগ অনুযায়ী মৃত ২১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ জন ও রংপুর বিভাগে ২ জন রয়েছেন।

চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৪৩ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ২০ লাখ ১৯ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৬ কোটি ৭৪ লাখের বেশি।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে বিভিন্ন মেয়াদে ছুটি বাড়িয়ে সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ছিল।

দেশের ইতিহাসে দীর্ঘ এ ছুটির পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩১ মে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য সবকিছু খুলে দেয়া হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি আরেক দফায় ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

Exit mobile version