Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

কক্সবাজারের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি

Advertisements

কক্সবাজারের বন্যা পরিস্থিতি সোমবার কিছুটা উন্নতি হলে নিচু এলাকায় পানি বেড়েছে। চকরিয়া ও পেকুয়াতে হাজার হাজার মানুষ সড়কের উপর আশ্রয় নিয়েছে। চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীসহ সকল সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পানি কমে যাওয়ার সাথে সাথে বাড়ছে মানুষের দুর্ভোগ। জেলায় কাজ করছে ৮৮ টি মেডিক্যাল টিম।

গত ৫ দিনে পানিতে ভেসে গিয়ে, বিদ্যুৎপিষ্ট হয়ে এবং পাহাড় ধসে মারা গেছে ২৩ জন।  জেলায় এখনো ২ লাখ মানুষ পানি বন্দী রয়েছে। বৃষ্টি কমলেও পানি কমছে খুব ধীর গতিতে। আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে রয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। রামু, চকরিয়ার কিছু এলাকায় পানি একটু কমতে শুরু করলে পেকুয়া ও চকরিয়ার ৭ টি ইউনিয়নে বাড়ছে পানি। সেখানে বাড়ছে মানুষের দুর্ভোগ।

এবারের বন্যায়  ১শ’ কোটি টাকার চিংড়ি ভেসে গেছে। জেলার চকরিয়া, রামু, পেকুয়া ও সদর উপজেলার ৩০টি ইউনিয়নের ২ লক্ষ মানুষ এখনো বন্যার পানিতে বন্দী অবস্থায় রয়েছে বলে জানা গেছে।

চকরিয়া পেকুয়ার হাজার হাজার মানুষ এখন সড়কে আশ্রয় নিয়েছে। সড়কের উপর পানি প্রবাহিত হওয়ায় গত ৫ দিন ধরে কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়ক, চকরিয়া-মগনামা সড়কের যোগযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। কক্সবাজার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের একটি ব্রিজ ধ্বসে যাওয়ায় ওই সড়ক দিয়েও যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

মাতামুহুরী ও বাকখালী নদীর পানি এখনো বিপদ সীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, দুর্গত এলাকায় ত্রান দেয়া হচ্ছে। কিন্তু সরকারের চেয়ে বেসরকারি বা ব্যক্তি উদ্যোগে বেশি ত্রাণ দেয়া হচ্ছে। জেলার ১৪১টি আশ্রয় কেন্দ্রে বন্যা দুর্গতরা রয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে ৮৮ টি জরুরি মেডিক্যাল টিম মাঠে কাজ করছে।

Exit mobile version