বাসায় ইন্টারনেটসহ কম্পিউটার আছে? ওয়েবক্যাম আছে? ভিডিও চ্যাট করেন বন্ধু বা দূরে থাকা আত্মীয়দের সঙ্গে? তবে এখন থেকেই সাবধান হয়ে যান। কারণ আপনার ওয়েবক্যাম থেকে ফুটেজ চুরি হয়ে যেতে পারে, এবং তা হতে পারে আপনার অজান্তেই!
দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমগুলোতে আজকাল প্রায়ই সাইবার নিরাপত্তা ও ওয়েবক্যাম হ্যাক করে ফুটেজ চুরি বিষয়ক সংবাদ প্রকাশিত হয়। অনেকেই হয় তো দেখেছেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অন্য এমন কোন ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপন, যেখানে মানুষের অজান্তে ওয়েবক্যামে ধারণ করা ফুটেজ দেখা যায়। রিমোট অ্যাকসেস ট্রোজান বা ‘র্যাট’ নামের ম্যালওয়্যার ব্যবহার করে ফুটেজ চুরি করে তার সাথে বিজ্ঞাপন দিয়ে ব্যবসা করে হ্যাকাররা।
গুগলের জনপ্রিয় ভিডিও পোর্টাল ইউটিউবেও এধরনের অসংখ্য ভিডিও রয়েছে। ইউটিউব মনিটরিংয়ের মাধ্যমে আপলোড হওয়া অনেক ধরনের ভিডিও সরিয়ে ফেললেও এ ধরনের ফুটেজ রয়েই যায়। যার ওয়েবক্যাম থেকে ফুটেজ চুরি করে ধারণ করা হচ্ছে, তার জন্য বিষয়টা হয়ে ওঠে সামাজিকভাবে আপত্তিকর ও বিব্রতকর, অনেকসময় ভীতিকরও। তাই এ ধরনের ভিডিও সনাক্ত করতে এবং তা দ্রুত সরিয়ে ফেলতে ইউটিউবকে আরও সতর্ক হতে আহবান জানিয়েছেন ডিজিটাল বিশেষজ্ঞরা।
অলাভজনক সংস্থা ডিজিটাল সিটিজেন অ্যালায়েন্স (ডিসিএ) সম্প্রতি প্রকাশিত এক রিপোর্টে জানিয়েছে, চুরি করা কয়েক হাজার ভিডিও ফুটেজ ইউটিউবে রয়েছে। লাখ লাখ হিট পায় ফুটেজগুলো। এগুলো সরিয়ে নিতে ডিসিএ’র পক্ষ থেকে গুগলকে অনুরোধ করা হলেও তাতে সাড়া দেয়নি গুগল।
প্রকাশিত এক বক্তব্যে গুগল জানায়, ইউটিউবের নীতিমালার বিরুদ্ধে যায়, এমন ভিডিও ব্যবহারকারীরা চিহ্নিত করলে ইউটিউব তা সরিয়ে নেয়। ওয়েবক্যামে চুরি করে ধারণ করা ভিডিও’র ক্ষেত্রে ইউটিউবকে আরও যত্নশীল হতে বলেন ডিসিএ’র ডেপুটি ডিরেক্টর অ্যাডাম বেনসন।