চট্টগ্রাম থেকে: ব্যাটিং স্বর্গে বাংলাদেশের সংগ্রহ মাত্র ১৭৯ রান। তার উপর দলের মূল পেসার আবুল হাসান রাজু অসুস্থতায় বল হাতে নামতেই পারলেন না। যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। ৩৮.৫ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কা। সেমিতেই ভেঙে গেল লাল-সবুজদের স্বপ্ন। হারের পর ব্যাটিং ব্যর্থতাকে দুষলেন অধিনায়ক মুমিনুল হক।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বড় রানের আশায় টস জিতে ব্যাটিং নেন মুমিনুল। ইনিংসের সপ্তম ওভারে আসিথা ফার্নান্দো হ্যাটট্রিক সেই আশায় জল ঢেলে দেয়। সেসময় একে একে সাজঘরে ফেরেন আফিফ, মুমিনুল, শান্তরা। উইকেটে কী এমন ছিল? মুমিনুল বললেন, আহামরি কিছুই না, আমরা বাজে ব্যাটিং করেছি।
ম্যাচের শেষে স্বাগতিক অধিনায়কের আক্ষেপ, ‘আমারা বাজে ব্যাটিং করেছি। আহামরি সুইং করেনি বল। আমি আউট হয়েছি প্রায় হাভভলি বলে। আফিফের আউটটি দেখেন, ভেতরের বল কাট করতে গিয়ে আউট হয়েছে। শান্ত ইয়র্কার বল ঠোকাতে পারেনি। ওদের বোলিংয়ে আহামরি কিছু্ ছিল না।’
অল্প রান নিয়ে লড়াইয়ের চেষ্টা করেছিল বাংলাদেশ। ১৫ রানে দুই উইকেট তুলে নেন সাইফউদ্দিন ও নাঈম হাসান। পরে অবশ্য আর লড়াইয়ে ফিরতে পারেনি টাইগার যুবারা। তৃতীয় উইকেটে আশালঙ্কা ও সামারাবিক্রমা ১৬৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে শ্রীলঙ্কাকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন।
সুযোগ তৈরি করেও ম্যাচে ফিরতে না পারা নিয়ে মুমিনুল বললেন, ‘এমন উইকেটে রান যদি কম হয়, আর একটা বোলার যদি না থাকে তাহলে কঠিন হয়ে যায়। প্রথমে আরও দুই-একটা উইকেট পেলে ম্যাচটা অন্যরকম হতে পারতো। উইকেটে যদি বোলারদের জন্য সহায়তা থাকত তাহলে একটা ব্যাপার ছিল। তার মধ্যে একটা মেইন বোলার নেই। দুই ওভার ব্যাটিংও করতে পারেনি। প্রথম ১০-১৫ ওভার চেষ্টা করেছিলাম ওদের ধরতে। যা সাফল্য এসেছে নতুন বলে। তারপর আর হয়নি।’
কক্সবাজারে গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে ব্যাটিংয়ে ভালো করেছিল বাংলাদেশ। এমন ম্যাচে এসে ব্যাটিংয়ে ধস নামল যখন কিনা ভুল শোধরানোর সুযোগ নেই। হতাশা নিয়ে মুমিনুল বললেন, ‘এমন একটা ম্যাচে এসে আমরা ব্যাটিংয়ে ভেঙে পড়লাম, যখন কিনা ফেরার সুযোগ নেই। আফসোস-কষ্ট দুটোই হচ্ছে। একটা দিনই খারাপ ব্যাটিং করেছি। ওইদিনই আউট অফ দ্য টুর্নামেন্ট।’
মুমিনুল মনে করেন শুরুর দিকের হ্যাটট্রিক ম্যাচে ফিরত দেয়নি বাংলাদেশকে। লঙ্কান অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো পেরেরাও জানালেন হ্যাটট্রিকটাই বদলে দিয়েছে ম্যাচের ভাগ্য, ‘ওখান থেকেই ম্যাচ আমাদের দিকে এসেছে। ফার্নান্দোর হ্যাটট্রিকের পর আমরা বাংলাদেশকে দু’শ রানের মধ্যে আটকে রাখার আত্মবিশ্বাস পেয়েছি।’