চলতি বছর বাংলাদেশ ‘এ’ দল খেলবে তিনটি সিরিজ। আগামী মাসে শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দল আসবে সফরে। এরপর বাংলাদেশ ‘এ’ দল সফর করবে আয়ারল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেজন্য দলও গঠন করে ফেলেছেন নির্বাচকরা। যদিও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।
জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া ও দুয়ারে কড়া নাড়া ক্রিকেটারদের প্রমাণের জায়গা ‘এ’ দল। জাতীয় দলে ফেরার অপেক্ষায় থাকাদের মধ্যে স্কোয়াডে থাকার জোর সম্ভাবনা নাঈম ইসলাম, তুষার ইমরান, জুবায়ের হোসেন লিখন, সানজামুল ইমলাম ও তানবীর হায়দারের।
ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে ভালো ব্যাটিং করে যাওয়ার পুরস্কার পেতে পারেন আল-আমিন (জুনিয়র) ও ফজলে মাহমুদ।
সোমবার থেকে মিরপুরে শুরু হয়েছে হাই-পারফরম্যান্স (এইচপি) ক্যাম্প। যেখানে আফিফ, সাইফ, হৃদয়, নাঈম, অনিকের মতো নবীনদের আধিক্য। ২৪ জনের এইচপি স্কোয়াড থেকেও কয়েকজন সুযোগ পাবেন ‘এ’ দলে।
কক্সবাজারে বিশেষ পেস বোলিং ক্যাম্প করছেন রাব্বি, সাইফউদ্দিন, শরিফুল, ইবাদতরা। সেখান থেকেও কয়েকজনের জায়গা হবে ‘এ’ দলে।
সোমবার এইচপি ক্রিকেটারদের সঙ্গে ‘এ’ দলের সম্ভাব্য ছয় ক্রিকেটার- নাঈম, জুবায়ের, সানজামুল, তানবীর, ফজলে মাহমুদ, আল-আমিন ইনডোরে ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছেন। ব্যাটিং-বোলিংয়ের কাজ অবশ্য দুই বিভাগের জন্য আলাদা।
‘এ’ দলে সেই ৬ ক্রিকেটার যে চূড়ান্ত ঘোষণাটা অবশ্য এখনই দিলেন না নির্বাচক হাবিবুল বাশার। চ্যানেল আই অনলাইনকে বললেন, ‘আমরা কয়েকজনকে পরখ করার জন্য আগেভাগেই ডেকেছি। মূল অনুশীলন শুরু হবে ২০ জুন। দুই-তিনদিনের মধ্যেই দল ঘোষণা করা হবে।’
জাতীয় দলে নেই কোনো লেগস্পিনার। অথচ ‘এ’ দলের ভাবনায় দুই লেগস্পিনার জুবায়ের ও তানবীর। দুজনকেই স্কোয়াডে দেখা যেতে পারে কিনা জানতে চাইলে হাবিবুল বললেন, ‘সামনে ‘এ’ দলের প্রচুর খেলা। অনেক খেলোয়াড়কেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলাতে চাচ্ছি।’