ফুটবল বিশ্বের নতুন পরাশক্তি এখন ক্রোয়েশিয়া। মদ্রিচ, রাকিটিচ, ভিদার মতো খেলোয়াড়রা সেই পরাশক্তির উৎস হলেও ‘মাস্টার মাইন্ড’ মূলত কোচ জ্লাতকো দালিচ। যার কোচিং ক্যারিয়ারের অনেকটা সময় কেটেছে এশিয়ার বিভিন্ন ক্লাবে।
দালিচ ক্রোয়েশিয়ার দায়িত্ব পান গত অক্টোবরে। সেই সময় দলটির বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়াই ছিল মূল লক্ষ্য। সেই দলটি এখন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার অপেক্ষায়।
বড় বড় দলের কোচ হতে গেলে সিভিটা হতে হয় ভারি। থাকতে হয় ইউরোপের ক্লাবে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা। দালিচ সেই তুলনায় কিছুই নন। বিশ্বকাপের আগে তিনি মূলত মধ্যপ্রাচ্যে বেশি পরিচিত ছিলেন। তিনি কোচিং করিয়েছেন সৌদি আরবের আল ফায়সালি, আল হিলালি ক্লাবে। এছাড়া আরব আমিরাতের আল আইন ক্লাবেও ছিলেন।
৫১ বছর বয়সী এই কোচ আল ফায়সালি ক্লাবকে ২০১০-১১ মৌসুমে সৌদি পেশাদার লিগে সপ্তম স্থানে নিয়ে আসেন। যেটি ছিল শীর্ষ পর্যায়ের টুর্নামেন্টে ক্লাবটির প্রথম যাত্রা।
এরপর দালিচ ডাক পান সৌদির ঐতিহ্যবাহী ক্লাব আল হিলালিতে। প্রথমে রিজার্ভ টিমের কোচ থাকলেও কয়েক মাস পরে মূল দলের প্রধান কোচ হয়ে যান। দলটিকে প্রথম বছরেই সাফল্য এ দেন। প্রিন্স কাপে চ্যাম্পিয়ন বানানোর পাশাপাশি ২০১২-১৩ মৌসুমে লিগে রানার্সআপ বানান। ২০১৪ সালের মার্চে যোগ দেন আল আইন ক্লাবে।
এই ক্লাবেও একের পর সাফল্য ধরা দিতে থাকে দালিচের হাতে। অ্যারাবিয়ান লিগ, প্রেসিডেন্ট কাপ, সুপার কাপ জেতেন দলটির হয়ে। ওই সময়ে তার বড় সাফল্য আসে ২০১৬ সালে। দলটিকে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে নিয়ে আসেন। সেদিন কোরিয়ার একটি ক্লাবের বিপক্ষে ৩-২ ব্যবধানে হেরে যায় দালিচের দল।
এবার তার সামনে আরেকটি ফাইনাল। যে ফাইনালের সঙ্গে তুলনা চলে না কোনো ফাইনালের। দালিচ জিতলে ইতিহাস হবেন। না জিতলে ইতিহাসের পরশ পাবেন।