দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জের এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের প্রথম নামাযে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে রংপুর পুলিশ লাইনস মাঠে।
জানাযায় অংশ নেয় কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ স্বজন ও শুভাকাঙ্খীরা। সেখানে দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি উঠেছে।
এমপি লিটন খুনের ঘটনার পর রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রংপুর থেকে ১৪ জামায়াত ও ১ শিবিরকর্মীকে গ্রেফতার করেছে।
সোমবার এমপি লিটনের মরদেহ ঢাকায় আনা হবে। ঢাকায় সোমবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় দ্বিতীয় নামাযে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর হেলিকপ্টার যোগে সুন্দরগঞ্জে নেয়া হবে এবং লিটনের গ্রামের বাড়ি বামনডাঙ্গায় বাদ আসর আবদুল হক কলেজ মাঠে তৃতীয় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে।
লিটনের হত্যাকারীদের ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, লিটনের হত্যাকারীরা দেশবাসী ও সরকারের কাছে পূর্বপরিচিত। জামায়াত-শিবিরের হত্যার হুমকির কারণে প্রতি মুহূর্তে লিটন আতঙ্কের মধ্যে থাকতেন বলে জানান নানক।
এমপি লিটন খুনের ঘটনায় গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জে আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ করে হরতাল করেছে।
এরআগে রাজশাহী থেকে আসা সিআইডি ক্রাইম সিন টিমের ৪ সদস্য এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের মরদেহ পর্যবেক্ষণ করেন। নমুনা সংগ্রহ শেষে রোববার সকাল ৮ টার পর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হিমঘর থেকে গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জের এমপি লিটনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসা হয় হাসপাতাল মর্গে।
সেখানে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. নারায়ণ চন্দ্র সাহার নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি চিকিৎসকদল লিটনের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। এমপি লিটনের দেহে ৫টি বুলেটের ক্ষত পাওয়া গেছে। ৫টি গুলির দু’টো বুকের সামনের দিকে, একটি পিঠের কাছে ও বাকি দু’টি হাতে লেগেছে। একটি বুলেট আলামত হিসেবে সংগ্রহ করা হয়েছে পরীক্ষার জন্য পাঠানোর উদ্দেশ্যে।