বাংলাদেশি এমপি শহিদ ইসলাম পাপুলের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের পাশাপাশি ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যাসিসট্যান্ট আন্ডার সেক্রেটারি মেজর জেনারেল শেখ মাজেন আল-জারাহকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় গণমাধ্যম আল কাবাস-কে উদ্ধৃত করে গালফ নিউজ এ খবর নিশ্চিত করেছে।
এই সেনা কর্মকর্তা পাপুলের ব্যবসায় সুবিধা (ফাস্ট ট্র্যাকিং লেনদেন) পাইয়ে দিতে ঘুষ নেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার আল জারাহ এমপি পাপুলের মামলায় একজন সন্দেহভাজন- এমন তথ্য পাওয়ার পর কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউটশন তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করে।
কিছুদিন আগেই গ্রেপ্তার পাপুলকে কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে তাকে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে।
কুয়েতে মানবপাচার, হাজার কোটি টাকা অবৈধভাবে উপার্জন ছাড়াও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে শহিদ ইসলাম পাপুলকে কুয়েতে গ্রেপ্তার করা হয়।
দেশটির ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) মুশরেফ আবাসিক এলাকা থেকে তাকে আটক করে।
এই মামলায় সঙ্গে জড়িত সবাইর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পাবলিক প্রসিকিউশন পাপুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
গত সপ্তাহে, কুয়েতের আইনসভা কমিটি এই মামলায় আটক সেদেশের দুই এমপি সালাহ খোরশিদ এবং সাদাউন হামদকে মুক্তির বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয়।
আল কাবাস জানায়, অন্তত ২০ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিককে কুয়েতে আনতে পাপুল ৫০০ কোটি কুয়েতি দিনার নিয়েছেন।
মানব পাচার, অর্থ পাচার ও ঘুষের অভিযোগে গত ৮ জুন পাপুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কুয়েতের আইন অনুযায়ী, দেশটিতে কর্মরত বিদেশিদের বৈধ ওয়ার্ক পারমিট থাকতে হয়। সেটা তাদের নিয়োগকর্তা দিয়ে থাকেন।
কোভিড-১৯ মহামারীর শুরু থেকেই কুয়েতে অবৈধ পারমিট বাণিজ্য আলোচনায় আসে। কুয়েতে প্রায় ৯০ হাজার নন-পারমিট বিদেশি রয়েছে। যারা অনেক টাকার বিনিময়ে কুয়েতে আসেন।
শহিদ ইসলাম পাপুল মারাফী কুয়েতিয়া গ্রুপ অব কোম্পানিজ কুয়েত, ওমান ও জর্ডানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
তার এই প্রতিষ্ঠানটি জনশক্তি রপ্তানিতে যুক্ত। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশে কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে আছেন।
বিগত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে লক্ষ্মীপুর-২ আসন থেকে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করে জয়লাভ করেন।