শেষ ওভারে চাই মাত্র ৭ রান। হাতে ৫ উইকেট। ক্রিজে দুজন সেট ব্যাটসম্যান। দুজনেই চালিয়ে খেলার জন্য খ্যাত! একজন আবার ফিফটি পেরিয়েছেন। কিন্তু দলটা যে সাউথ আফ্রিকা। চাপে ভেঙে পড়ার রীতিতে বিশ্বাসী। শেষঅবধি দুই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানই নটআউট থাকলেন, কেবল অল্পকটা রানই আর তুলতে পারলেন না। মার্ক উড ওই ওভারে দিলেন মাত্র ৪ রান। ম্যাচটা ইংল্যান্ড জিতে নিল ২ রানে। সেইসঙ্গে এক ম্যাচ হাতে রেখে তিন ম্যাচের সিরিজও।
সাউদ্যাম্পটনের রোজ বোলে শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৩০ রানের বড় সংগ্রহই গড়ে ইংল্যান্ড। জবাবে ৫ উইকেটে ৩২৮ রানেই থেমে গেছে চোকার্স-আফ্রিকা!
জেসন রয় (৮), অ্যালেক্স হেলস (২৪) ও জো রুটের (৩৯) বিদায়ে পথ হারায়নি ইংল্যান্ড। প্রথমে ইয়ন মরগ্যানকে নিয়ে ৯৫ ও পরে বাটলারকে নিয়ে ৭৭ রানের দারুণ দুটি জুটি গড়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ রাখেন বেন স্টোকস।
অধিনায়ক মরগান ৪৫ রানে সাজঘরে ফেরেন। স্টোকস ফেরেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে শতক পূর্ণ করে। ১১ চার ও ৩ ছয়ে ৭৯ বলে ১০১ রানের ইনিংস খেলে থামেন এই অলরাউন্ডার।
বাটলার শেষ পর্যন্ত ৬৫ রানে অপরাজিত থাকেন। তাকে ৭৮ রানের জুটিতে সঙ্গে দেন ৩৩ রান করা মঈন আলি।
রান তাড়া করতে নেমে ক্রিজে আসা সাত প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানই দুই অংকের কোটা ছুঁয়েছেন। ফিফটির জুটি হয়েছে চারটি। কিন্তু কাজের কাজটি কেউই করে দিতে পারেননি।
উদ্বোধনী কুইন্টন ডি কক ৯৮ রান করে সেঞ্চুরি হারানোর বেদনা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। আমলা ২৪, ডু প্লেসিস ১৬, ডি ভিলিয়ার্স ৫২, বেহারদিন ১৭ রানে ফিরেছেন। ডেভিড মিলার ৫ চার ও ২ ছয়ে ৫১ বলে ৭১ এবং ক্রিস মরিস ৩ চার ও ২ ছয়ে ২২ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকলেও কাজের কাজটা করতে পারেননি শেষ ওভারে এসে।