সত্তর ও আশির দশকে ঢাকাই চলচ্চিত্রের সাড়া জাগানো অভিনেত্রী সুচরিতা বলেছেন, শিল্পী সমিতির নির্বাচনের কারণে প্রার্থীরা সবাই এখন তার নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছেন।
‘অথচ কিছুদিন আগেও কারও কোনো ফোন পেতাম না। চলচ্চিত্রের বেশিরভাগই এখন স্বার্থবাজ,’ বলে মন্তব্য করেন এ অভিনেত্রী।
চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন: আমাদের সময়টায় চলচ্চিত্রে সবার একজনের সঙ্গে অন্যজনের খুব ভালো যোগাযোগ ছিল। কিন্তু এখনকার সব যোগাযোগ স্বার্থকেন্দ্রিক।
‘ব্যাপারাটা আমাকে খুব কষ্ট দেয়,’ মন্তব্য করে তিনি বলেন: শিল্পী সমিতির নির্বাচনে দাঁড়িয়ে পাশ করেছিলাম কোন একটি নির্বাচনে। অনেককেইতো দেখলাম। তারা নির্বাচনে জিতে শিল্পীদের পক্ষে কাজ করেননি।
সুচরিতা বলেন: এবার ভোট দেব। আমি প্রত্যাশা করব যারাই নির্বাচিত হবেন তারা যেন শিল্পীদের পক্ষে কাজ করেন। কোন শিল্পীকে যেন অবহেলিত না হতে হয় সেদিকটায় খেয়াল রাখবেন নির্বাচিত প্রার্থীরা, এটাই আশা করছি।
সুচরিতা অভিনীত দুটি ছবি মুক্তির অপেক্ষায় আছে। এ ছবি দুটি হচ্ছে-‘মেঘকন্যা’ ও ‘ক্ষুদিরামের ফাঁসি’।
সুচরিতার প্রকৃত নাম বেবী হেলেন। তবে তিনি আশির দশকে দর্শকের কাছে সুচরিতা নামেই পরিচিতি পান।
১৯৭৭ সালে ‘যাদুর বাঁশি’ ছবি দিয়ে সাড়া ফেলে দেন দর্শকের মধ্যে। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে: ‘জনি’, ‘দাঙ্গা’, ‘ডাকু মনসুর’, ‘কলমিলতা’, ‘জীবন নৌকা’, ‘নিশান’, ‘দোস্ত দুশমন’, ‘এখনো অনেক রাত’, ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’, ‘দ্য ফাদার’, ‘ত্রাশ’, ‘বদলা’, ‘চিৎকার’, ‘গাদ্দার’, ‘রকি’, ‘মাস্তান’, ‘জানোয়ার’, ‘সোনার তরী’, ‘আসামী’, ‘তুফান’, ‘কুদরত’, ‘সাক্ষী’, ‘আঁখি মিলন’, ‘অজান্তে’, ‘টাকা’, ‘ঘর সংসার’, ‘মহুয়া সুন্দরী’ ইত্যাদি।
১৯৯৭ সালে প্রয়াত চলচ্চিত্র নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলামের ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’ ছবিতে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পান সুচরিতা।