জিততে হলে প্রতিপক্ষকে ১৫৬ রানের আগে আটকাতে হবে। ফেলতে হবে আটটি উইকেট। ক্রিকেট বুঝে থাকলে যেকেউ বলবেন কাজটা কঠিন। কেউ কেউ আবার আশা ছেড়েও দিতে পারেন। কিন্তু তামিম ইকবাল ওই দলের নন। উইকেটের কথা আর ইংল্যান্ড সিরিজের স্মৃতি স্মরণ করে বলছেন, দুজনের একজনকে চতুর্থদিন সকালে দ্রুত ফেরানো গেলে সুযোগ আসতে পারে।
‘যে দুজন উইকেটে আছে তাদের একজন যদি দ্রুত আউট হয়ে যায়, তাহলে সম্ভব। এই উইকেটটাই এমন।’ বলেন তামিম।
অস্ট্রেলিয়া এদিন দ্রুত দুই উইকেট হারালেও স্মিথ (২৫*) আর ওয়ার্নারের (৭৫*) ব্যাটে জয়ের স্বপ্ন দেখছে।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও শেষ ইনিংসের শুরুতে বাংলাদেশি বোলাররা দিক হারিয়ে ফেলেছিলেন। পরে লাঞ্চ থেকে ফিরে টপাটপ উইকেট নিতে থাকেন মিরাজ আর সাকিব। ওই ম্যাচ বাংলাদেশ জিতে যায়।
‘এমন অনেক ম্যাচ দেখেছি। ইংল্যান্ডের সাথে খেলেছিও। সেদিন ১০০ রানে উইকেট পড়েনি। আবার দেড়শ রানের কাছাকাছি গিয়ে অলআউট হয়ে গেছে,’ তামিম এখান থেকে আত্মবিশ্বাস খুঁজতে চাইলেও বসে থাকতে নারাজ, ‘আসলে একদিক থেকে ইতিহাস দেখে বসে থাকলে হবে না, কাজটা করতে হবে। যে দুজন ব্যাটসম্যান খেলছে তাদের সেরা ব্যাটসম্যান। দুজনকে যত দ্রুত আউট করতে পারব তত বড় সুযোগ থাকবে।’
বাংলাদেশ এদিন ২৬৫ রানের লিড নিতে নিতে থেমে যায়। তামিম (৭৮) ছাড়া আর কেউ অর্ধশতক পাননি। দেশসেরা ওপেনার বলছেন লিডটা আরেকটু বেশি হওয়া উচিত ছিল, ‘একটা দিন আগের কথা যদি চিন্তা করি ২৬০-২৭০ লিড হলে খুশি থাকতাম। আমাদের কাছে সুযোগ ছিল লিডটাকে ৩০০ বা তার চেয়ে একটু বেশি করার। ওদিক থেকে চিন্তা করলে কিছুটা হতাশ। ৩০০ বা তার চেয়ে বেশি হলে আমাদের জন্য আরেকটু সুবিধা হতো। ‘
তৃতীয়দিন শেষ বিকেলে উইকেট খুব একটা ভালো ছিল না। মিরাজ-সাকিব ২৮ রানের ভেতর দুইজনকে ফেরান। এরপর ওয়ার্নার আর স্মিথ একটানা ব্যাট করে দিন শেষ করেন।
‘উইকেটের যে অবস্থা তাতে যেকোনো সময় যেকোনো কিছু হতে পারে। আমাদের ধৈর্য ধরে থাকতে হবে। এখন ভাল জায়গায় বল করতে হবে। আমরা আজকে যেভাবে বল করেছি ওর চেয়ে আরেকটু ভাল বল করতে পারতাম। যে সময় দুটি উইকেট পড়ল যদি আরেকটু টাইট বোলিং করতে পারতাম। তাহলে হয়ত আরেকটা উইকেট পেতাম। আরেকটা উইকেট পড়লে আমাদের জন্য খুব ভাল হতো।’