জাতীয় নির্বাচনে ১০০ আসনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারে নির্বাচন কমিশনের প্রকল্প একনেকের আগামী বৈঠকে উঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
মঙ্গলবার শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেকের বৈঠকে শেষে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ইভিএম ব্যবহারে নির্বাচন কমিশন আমাদের কাছে প্রকল্প পাঠিয়েছে। আগামী একনেকের বৈঠকে এই প্রকল্প উঠবে। এই প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হতে পারে।
তবে ইভিএমের জন্য যেসব টাকা অনুমোদন দেয়া হবে তা একসঙ্গে দেয়া হবে না। এসব টাকা ফেইজ আকারে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, আশা করি আরপিও সংশোধন হবে। জাতীয় নির্বাচনে পরীক্ষামূলক হলে ইভিএম ব্যবহার হবে। তবে এটা নির্ভর করবে ইসির উপর। তারা যেভাবে চাইবে সেভাবে হবে।
সমীক্ষা যাচাই না করে ইভিএম প্রকল্প কীভাবে একনেকে উঠছে এমন প্রশ্নে মুস্তফা কামাল বলেন, এটার সমীক্ষা যাচাইয়ের দরকার নেই। নির্বাচন কমিশন ইভিএম আগে ব্যবহার করেছে। এখন নির্বাচন কমিশন টাকা চেয়েছে। আমরা প্রকল্প অনুমোদন দেব। এটা দেখবে নির্বাচন কমিশন।
তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সীমিত আকারে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। সেই লক্ষ্য নিয়ে প্রকল্পটি একনেক সভায় তোলা হবে অনুমোদনের জন্য। আমাদের এক দিন না একদিন ইভিএম এ যেতে হবে। এটা মেকানিক্যাল ব্যাপার তাই সবার ট্রেনিং দরকার। সেজন্য জাতীয় নির্বাচনে সীমিত আকারে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।
তবে এ বিষয়ে আমি বলার কেউ নই। ইসিই সিদ্ধান্ত নেবে, বলেন মন্ত্রী।
ইভিএম ক্রয় সংক্রান্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮২৯ কোটি টাকা। প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে নির্বাচন কমিশন।
একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেকের আজকের বৈঠকে ১৭ হাজার ৭৮৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকার ১৮টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।