Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

একটু উষ্ণতার জন্য

শৈত্যপ্রবাহ

আবহাওয়া অফিসের রেকর্ডমতে দেশের ইতিহাসে হিমতম শৈত্যপ্রবাহ চলছে। সপ্তাহব্যাপী চলা এই শৈত্যপ্রবাহে উত্তরের জনপদগুলোর অবস্থা বেশি শোচনীয়। প্রচণ্ড শীতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে উত্তরের জনপদসহ সারাদেশের নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা। তীব্র শীতে তাদের জীবন বলতে গেলে স্থবির হয়ে পড়ছে বলে চ্যানেল আই সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে আসছে। নিম্ন আয়ের মানুষদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে শীতবস্ত্রের অভাব এবং শীতে কাজের সুযোগ কমে যাওয়া। এছাড়া শীতজনিত বিভিন্ন রোগ ক্রমেই বাড়ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এক্ষেত্রে আশার খবর দিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তিনি জানিয়েছেন: ইতোমধ্যে সারাদেশে ১০ লাখ ১২ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া অতি শীতপ্রবণ ২০ জেলায় আরও ৯৮ হাজার পিস কম্বল এবং ৮০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে। এছাড়া শীত নামার আগেই প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে ১৮ লাখ কম্বল পাঠিয়েছিলেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রীর দেওয়া এই তথ্য প্রশংসার যোগ্য। তবে দুর্গত মানুষ সঠিকভাবে সরকারের দেওয়া এই ত্রাণ পাচ্ছে কিনা, তা নিশ্চিত করতে হবে। এর পাশাপাশি শৈত্যপ্রবাহের শিকার নিম্ন আয়ের মানুষদের তুলনায় সরকারের দেওয়া ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে তাদের জন্য ত্রাণের পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি এবং ব্যক্তি পর্যায়ে সামর্থ্য অনুযায়ী সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নিম্ন আয়ের মানুষদের যাতে বন্যা কিংবা শৈত্যপ্রবাহের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় দীর্ঘমেয়াদে ত্রাণের মুখাপেক্ষি হতে না হয়, সেজন্য কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। এসব মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ব্যতীত দেশের কাঙ্খিত উন্নয়ন কোনভাবেই সম্ভব নয়। তবে, এ মুহূর্তে সবার আগে দরকার শীতবস্ত্রের দরকার এমন মানুষদের পাশে দাঁড়ানো, সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যক্তি উদ্যোগে তাদের জন্য একটু হলেও উষ্ণতার ব্যবস্থা করা।

Exit mobile version