ভারতের উড়িষ্যা উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা নাগাদ ‘ফণী’ সেখানে আঘাত হানে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
পূর্বাভাসে দুপুর ৩টা নাগাদ আঘাত হানার কথা থাকলে আগেভাগেই আঘাত হানে প্রবল এ ঘূর্ণিঝড়টি।
বিকেল নাগাদ ভয়াবহতা কিছুটা কমিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের খুলনা-সাতক্ষীরা অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশ উপকুলে আঘাত করবে, আশঙ্কা আবহাওয়া অফিসের।
মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উড়িষ্যা উপকুলে আঘাত শেষে ‘ফণী’ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকুলের দিকে ধেয়ে আসবে। এর প্রভাবে শুক্রবার দুপুরের পর থেকে প্রবল বাতাস দমকা হাওয়াসহ ভারী থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টি হবে। ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকুলীয় জেলা স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
বাংলাদেশের ১৯ এবং ভারতেরও ১৯ জেলায় আঘাত করবে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। বাংলাদেশ ও ভারতের ১০ কোটি মানুষের ওপর এর প্রভাব পড়বে।
ধেয়ে আসতে থাকা ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। সব দপ্তরের মাঠ পর্যায়ে ছুটি বাতিল করা হয়েছে। প্রস্তুত করাহয়েছে ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবীকে।
রেড অ্যালার্ট জারি, মাইকিং করে সর্তকতা নির্দেশ, আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখাসহ সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্নের কথা জানানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।