পুর্নব্যবহারের অনুপযোগী প্রায় ৩ হাজার মেট্রিক টন প্ল্যাস্টিক বর্জ্য উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর কাছে ফেরত পাঠাবে মালয়েশিয়া। দেশগুলোর তালিকায় আছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা।
মঙ্গলবার পরিবেশমন্ত্রী ইয়েও বি ইয়িন বলেন, মালয়েশিয়া সমৃদ্ধ দেশগুলির জন্য “ডাম্পিং গ্রাউন্ড” এড়াতে এ পদক্ষেপ নিচ্ছে। যেখানে প্রায় ৬০ কন্টেনার বর্জ্যের স্তুপ মালয়েশিয়ায় অবৈধ পথ দিয়ে প্রতিনিয়ত প্রবেশ করছে। আর এর মূল উৎস উন্নত বিশ্বের দেশগুলো।
তিনি আরও বলেন,গতবছর মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশে এক যোগে প্লাস্টিক পণ্য বর্জন করেছে, এর আগে চীন থেকেও প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করা হয় সম্পূর্ণভাবে।
মন্ত্রী মালয়েশিয়া বিশ্বব্যাপী বর্জ্যের স্থল হবে না উল্লেখ করে বলেন, আমরা বর্জ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব।
কুয়ালালামপুরে এক আলোচনায় ইয়েন বলেন, গত দুই সপ্তাহে অন্তত ১০ টি দেশে জাহাজে করে বর্জ্য ফেরত পাঠানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বর্জ্যের উপাদান গুলোর মধ্যে প্রদর্শিত আইটেমগুলি হলো- যুক্তরাজ্যের কেবলস, অস্ট্রেলিয়া থেকে দূষিত দুধের কার্টন,বাংলাদেশ থেকে সিডি পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান, সৌদি আরব এবং চীন থেকে ইলেকট্রনিক ও গৃহস্থালির বর্জ্যেগুলো অন্তর্ভুক্ত।
এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত প্রায় দুই বছরে বিভিন্ন দেশ থেকে মালয়েশিয়ায় ৫০ মেট্রিক টন প্লাস্টিক বর্জ্য দেশটিতে প্রবেশ করেছে।
গত জুলাই থেকে প্রায় ১৫০ টির বেশি গাছপালা রোপন এবং সারা দেশে প্রচুর পরিমাণে অবৈধ প্লাস্টিক পুর্নব্যবহার উপযোগি সুবিধার কথা উল্লেখ করছে সরকার।
এই মাসের শুরুর দিকে, মালয়েশিয়া পাঁচটি দেশের বর্জ্যে ফেরত পাঠানোর কথা বলেন।