বাংলা চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর নির্মাতা হিসেবে ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার পেলেন কোহিনূর আক্তার সুচন্দা এবং সাংবাদিক রাফি হোসেন। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর পাঁচতারা হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত জমজমাট এক আয়োজনের মধ্য দিয়ে গুণী এ দুজন মানুষের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
পুরস্কার প্রদানের আগে বাংলা চলচ্চিত্র সাংবাদিকতার অগ্রদূত প্রয়াত ফজলুল হকের বর্ণাঢ্য কর্মজীবন নিয়ে শহীদুল আলম সাচ্চুর নির্মাণে ৩০ মিনিটের একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সেখানে কিংবদন্তীতুল্য ব্যক্তিত্বরা ফজলুল হকের বর্ণিল কর্মজীবন নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন। এরপর ফজলুল স্মৃতি পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রয়াত ব্যক্তিদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
নির্মাতা হিসেবে পুরস্কার গ্রহণের পর কোহিনূর আক্তার সুচন্দা বলেন, ফজলুল হক সাহেব ইতিহাস সৃষ্টি করা ব্যক্তিত্ব। তাকে সেলুট জানাই। রক্ষণশীল, কুসংস্কারে ভরা জাতিকে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে জাগিয়ে ছিলেন। ওই মানুষটিকে স্মরণ করে আমাকে সম্মাননা জানানোর জন্য আমি কৃতজ্ঞ। এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না।
চলচ্চিত্র সাংবাদিকতায় পুরস্কার লাভের পর রাফি হোসেন বলেন, ফজলুল হক প্রয়াত হলেও এই স্মৃতি পুরস্কার তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। তার যোগ্য উত্তরসূরি ফরিদুর রেজা সাগরকে ধন্যবাদ। তার কাছে কোনো আবদার নিয়ে গেলে তিনি কখনোই না করেননি। এ পুরস্কার পেয়ে আমি ভীষণভাবে সম্মানিত বোধ করছি।
চলচ্চিত্র পরিবারের পক্ষ থেকে প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু প্রয়াত ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার প্রদানের সাথে জড়িত সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
২০১৯ সালে ফজলুল হক স্মৃতি সম্মাননা প্রাপ্ত ‘হাজার বছর ধরে’ খ্যাত নির্মাতা সুচন্দা ও চলচ্চিত্র সাংবাদিক রাফি হোসেনকে উত্তরীয়, ক্রেস্ট ও পুরস্কারের অর্থমূল্য তুলে দেন মঞ্চে উপবিষ্ট চার অতিথি ড. আনিসুজ্জামান, সালাউদ্দিন জাকি, সুজাতা ও কেকা ফেরদৌসি।
বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র বিষয়ক পত্রিকা ‘সিনেমা’র সম্পাদক এবং বাংলাদেশের প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘প্রেসিডেন্ট’ এর পরিচালক ফজলুল হক-এর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ২০০৪ সাল থেকে এ পুরস্কার দিয়ে আসছে ‘ফজলুল হক স্মৃতি কমিটি’।