ধ্রুপদী সংগীত শিল্পী ওস্তাদ ইয়াসিন খান ইন্তেকাল করেছেন(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ঊনআশি বছর। অনেকদিন অসুস্থ থাকার পর বৃহস্পতিবার রাতে নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেন তিনি।
ওস্তাদ গুল মোহাম্মদ খানের ছোট ছেলে ওস্তাদ ইয়াসিন খান বাংলাদেশের উচ্চাঙ্গ সংগীতের অন্যতম পথিকৃৎ। বৃহস্পতিবার রাতে মালিবাগ বাগানবাড়ির নিজ বাসায় হঠাৎই মাথা ঘুরে পড়ে যান তিনি।
ওস্তাদ ইয়াসিন খানের মেয়ে বিন্দিয়া খান বলেন, আমাদের সাধ্য মতো চেষ্টা করেছি, তবে উনার চিকিৎসা অনেক পরে হয়েছে।
ওস্তাদ ইয়াসিন খান ১৯৩৭ সালে পুরান ঢাকার শ্যামবাজারে জন্মগ্রহণ করেন। ৭ বছর বয়সে পিতা ওস্তাদ গুল মোহাম্মদ খানের কাছে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিক্ষা শুরু। ১৪ বছর বয়সে রেডিও পাকিস্তান ঢাকা কেন্দ্রে শুরু করেন সংগীত পরিবেশন।
ধ্রুপদ ধারায় বিশেষ অবদানের জন্য শিল্পকলা একাডেমি গুণীজন সংবর্ধনা, ওস্তাদ আলাউদ্দীন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গন থেকে স্বর্ণপদক সহ বিভিন্ন পুরস্কার পান তিনি।
২০১৫তে চ্যানেল আই খেয়াল উৎসবে আজীবন সম্মাননা দেয়া হয় উপমহাদেশের বরেণ্য এ সঙ্গীত সাধককে। বাংলাদেশে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের ‘ভাগর ঘারানার’ একমাত্র প্রতিনিধিও ছিলেন তিনি।
বাংলা খেয়ালের প্রসারে তার চর্চাধারা অনুসরণের তাগিদ দেন বিশেষজ্ঞরা। সঙ্গীতজ্ঞ আজাদ রহমান বলেন, তিনি এক নাগাড়ে বাংলা খেয়াল আয়ত্ব করে গাইতে চাইতেন।এবং সবসময় এর পক্ষে ছিলেন।তার কর্ম তার সাধনার পথ ধরেই আমাদের আজকের প্রজন্ম যদি নিষ্ঠা নিয়ে গান করেন বাঙ্গালী, বাংলাদেশ, মাতৃভাষা বাংলা, মুক্তিযুদ্ধ গৌরবান্বিত হবে।
বাদ জুম্মা বাগানবাড়ি জামে মসজিদে নামাজে জানাযা শেষে বনানী করবস্থানে তার পিতার কবরে দাফন করা হবে সুর-সাধক ওস্তাদ ইয়াসিন খানকে।