করোনায় আবারও নিয়মিত মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে দেশে। শনিবার (২ জুলাই) জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৬০ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ১০৫ জন। শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২২ শতাংশ। শুক্রবার (১ জুলাই) জানানো হয় তার আগের ২৪ ঘণ্টায় ৫ জন মারা যান, আর শনাক্ত হয় ১ হাজার ৮৯৭ জনের। সে হিসেবে শনাক্তের হার গতদিনের চেয়ে কমেছে।
সম্প্রতি বিভিন্ন দেশে করোনার সংক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করেছে। করোনার নতুন ধরণ ওমিক্রন BA.4 ও BA.5-কে এই সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য দায়ী করা হচ্ছে। করোনা এই মুহূর্তে প্রাণঘাতি না হলেও, এই ভাইরাস দীর্ঘদিন ধরে মানুষের শরীরে থেকে যাচ্ছে। যার ফলে শরীরে নানা জটিল সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তবে আবারও যে প্রাণঘাতি হয়ে উঠবে না, তা কিন্তু বলা যাচ্ছে না।
ঈদুল আজহার উপলক্ষে ঈদযাত্রার প্রস্তুতি চলছে দেশজুড়ে। ২ ও ৩ জুলাই থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি শুরু এবং ৮ জুলাই থেকে অফিস-আদালত বন্ধ থাকবে। তবে জ্যাম এড়াতে আগেভাগেই ঈদযাত্রার প্রবণতা বিগত বছরগুলোতে দেখা গিয়েছে, এবছরও তা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন বাস টার্মিনাল, নৌ বন্দর ও রেলপথে বাড়তি চাপ দেখা দিতে শুরু করেছে।
ঋতুগত কারণে নানা সর্দি-জ্বর এই কয়েকমাস স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু এরসাথে করোনা যোগ হওয়াতে সংক্রমণের গতি আরও বেড়েছে বলে আমাদের ধারণা। সরকার নতুন করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ঘোষণা দিলেও বর্তমানে দেশের সর্বত্র সেভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে না। এখনই সচেতন না হলে সমস্যা প্রকট হবে।
যানবাহনে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রীর ব্যবস্থা রাখার পাশাপাশি যাত্রীদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য বিধি মানার বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ এবং গণমাধ্যমে সতর্কবার্তা প্রচার জরুরি বলে আমরা মনে করি। না হলে ঈদের ছুটির এইসময়ে করোনা আবারও ছড়িয়ে পড়তে পারে পুরো দেশে, যেমনটা হয়েছিল করোনার প্রথম বছরের ঈদের পরে।