ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এর কারিগরি সহায়তা দিতে ৫ হাজারের বেশি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য থাকবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার শাহাদত হোসেন চৌধুরী।
এছাড়া যে কোনো জটিলতা সামলানোর জন্য ৫০ শতাংশ বাড়তি ইভিএম প্রস্তুত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ইভিএমের মাধ্যমে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়, রোববার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর এমন মন্তব্যের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন: সিটি নির্বাচনে এখনও ৩০ দিন সময় আছে। এর মধ্যে ইভিএম নিয়ে বিএনপির ভুল ভাঙবে।
ইভিএম নিয়ে কোনো অস্বচ্ছতা নেই উল্লেখ করে শাহাদত হোসেন বলেন: ভোট মেশিন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি একটি রাজনৈতিক কৌশল।
নির্বাচন কমিশনের দেয়া তথ্য অনুসারে, দুই সিটিতে ইভিএমে ভোটের জন্য ১৯টি পয়েন্ট থেকে প্রশিক্ষণ, ডেমনস্ট্রেশন, মক ভোটিং ও ভোটকেন্দ্রে বিতরণের জন্য ইভিএম রাখা হবে। এর মধ্যে উত্তরে ইভিএম থাকবে ৮টি পয়েন্টে, আর দক্ষিণে ১১টি পয়েন্টে।
ঢাকার দুই সিটিতে ভোট হবে ৩০ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এবারই প্রথম রাজধানীর অর্ধ কোটি ভোটারের সবাই মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচনে ইভিএমে ভোট দেবেন। এর আগে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে ইভিএমগুলো দুই সিটির নির্ধারিত পয়েন্টে পৌঁছে দেয়া হবে।