লম্বা গড়ন, অসাধারণ ফিটনেস, দুর্দান্ত গতি। সব থাকার পরও প্রত্যাশার দাবি মেটাতে পারছিলেন না পেসার ইবাদত হোসেন। তবে সক্ষমতা নিয়ে সংশয় ছিল না কখনোই। টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক বিশ্বাস রেখেছিলেন ইবাদতের প্রতি। দেরিতে হলেও আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন পেসার হান্ট থেকে উঠে আসা তরুণ।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট শিকার করে নিউজিল্যান্ডকে দুইশর আগেই গুটিয়ে ফেলে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়ে বড় অবদান রেখেছেন ইবাদত। হাতে উঠেছে ম্যাচসেরার পুরস্কার। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মুমিনুল জানালেন, দীর্ঘদিন ধরেই ইবাদতের এমন বোলিং দেখার প্রতীক্ষায় ছিলেন।
‘গত ২-৩ বছরে সে (ইবাদত) সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করেছে। সে বিমানবাহিনী থেকে এসেছে, আগে ভলিবল খেলোয়াড় ছিল। আমাদের বোলিং কোচ ও সাপোর্ট স্টাফ ওর সঙ্গে অনেক কাজ করেছে। সে সত্যিই ভালো করেছে। ঠিক জায়গায় বল রেখেছে। অবিশ্বাস্য স্পেল ছিল। ওর কাছ থেকে এমনকিছু আমরা অনেকদিন ধরেই আশা করছিলাম।’
‘আপনারা (সাংবাদিকদের) সবসময় পুশ করতেন কেনো পেস বোলার খেলান না। বিদেশে গেলে খেলান, দেশে খেলান না। কমন প্রশ্ন। পেস বোলাররা যত ম্যাচ খেলবে তত পরিপক্ব হবে। আমার মনে হয় ওর জায়গায় দুই বছর ধরে টানা অনেকগুলো টেস্ট ম্যাচ খেলেছে, সেই সাথে বোলিং কোচের উন্নতির পেছনে কিছুটা অবদান রয়েছে। কার বেশি অবদান ইবাদত নিজে ভালো বলতে পারবে।’ বলেন মুমিনুল।