সাউথ এশিয়ান পার্টনারশিপ-২০১৭ তে এফএমসিজি ফুড এন্ড বেভারেজ ক্যাটাগরিতে বেস্ট সিইও হিসেবে বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ইগলুর গ্রুপ সিইও জি এম কামরুল হাসান। ব্যবসায়িক সংগঠন ওয়ার্ল্ড এইচ আর ডি কংগ্রেস এবং এশিয়ান কনফেডারেশন তাকে এই পুরস্কার দেয়। দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের মার্কেট রিসার্চ করে সাউথ এশিয়ান পার্টনারশিপ সামিট এই অ্যাওয়ার্ড দিয়ে থাকে।
কামরুল হাসান তার সুদীর্ঘ কর্মজীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন এফএমসিজি ইন্ড্রাস্টিতে। এই সেক্টর সম্পর্কে তার সুবিশাল অভিজ্ঞতা তাকে পরিণত করেছে একজন সফল করপোরেট ব্যক্তিত্ব হিসেবে। পাশাপাশি তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন একজন সফল নেতা হিসেবেও। তিনি বিশ্বাস করেন- এ গুড কোচ ক্যান চেঞ্জ এ গেম বাট এ গ্রেট কোচ ক্যান চেঞ্জ লাইফ। নেসলে, ফন্টেরার মত বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে সেলস ও মার্কেটিংয়ের বিভিন্ন বিভাগে কাজের পাশাপাশি রহিম আফরোজ, প্রাণসহ বিভিন্ন স্বনামধন্য দেশীয় প্রতিষ্ঠানে সফলতার সাথে প্রায় ২২ বছর কাজ করেছেন কামরুল হাসান। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের জনপ্রিয় আইসক্রিম ব্র্যান্ড ইগলুর গ্রুপ সিইও হিসেবে হিসেবে কর্মরত আছেন।
সম্প্রতি দেশের কর্পোরেট কালচারের ভবিষ্যত বিষয়ে জাহিদ নেওয়াজ খানের পরিকল্পনা ও সোমা ইসলামের উপস্থাপনায় চ্যানেল আই টু দ্য পয়েন্ট অনুষ্ঠানে একান্ত সাক্ষাতকারে কথা বলেন তিনি।
প্রশ্ন : দ্য কর্পোরেট কোচ- এটি কী ধরণের প্রতিষ্ঠান?
জি এম কামরুল হাসান : এটি আমার একটি পার্সোনাল ইনিশিয়েটিভ।
প্রশ্ন : এর কাজ কী? আমরা ফুটবল কোচ জানি, ক্রিকেট কোচ জানি- কিন্তু কর্পোরেট কোচ?
জি এম কামরুল হাসান : কর্পোরেট কোচ অল অ্যাবাউট ইউ নো- আমাদের ইন্ডাষ্ট্রিতে যদি অভারঅল চিন্তা করেন, নাম্বার অব পিপল আর ওয়ার্কিং ইন দ্য ডিফরেন্ট ইন্ডাস্ট্রি। অনেকে অনেক জায়গায় কাজ করছেন এবং তাদের প্রত্যেককে প্রাকটিক্যালি- হাউ উই ক্যান গাইড টুগেদার? আমাদের প্রফেশনাল লাইফে সো ম্যানি ট্যালেন্টডে ছেলে মেয়ে আছে। যারা কাজ করতে চায়, বড় হতে চায় অথবা যারা তাদের ক্যারিয়ার অনেক লম্বা করতে চায়। বাট মোর ইম্পট্যান্টলি হয় কী? একটা জায়গায় পরে- দে কাম ভেরি ফ্রাসট্রেটেড। জায়গাটা ঠিকমতো গুছাতে পারে না। আমি ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি দীর্ঘ দিন। প্রক্সিমেটলি টুয়েন্টি ফোর ইয়ারস প্লাস। আমার কাছে মনে হয়েছে- দ্য ওয়ে আই ক্রন অ্যাজ এ গ্রুপ সিইও। আমারও লাইফ এর অনেক আপস এন্ড ডাইন্স গিয়েছে। আমিও অনেক সময় রাইট গাইড লাইন পাইনি। রাইট, ইউ নো- কী করা উচিৎ? কী করা অনুচিত- সেই বিষয়গুলো বুঝিনি? তাই স্বপ্রণোদিত হয়ে আই ফিল দ্যাট- আমাদের যে ইয়াং ট্যালেন্টেড রিসোর্স আছে পার্টিক্যুলারলি ইন দ্য সেলস মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে- তাদেরকে একটু গাইড করা যায় কি না? তাদেরকে একটু ডেভলপড করা যায় কি না? একটু সাপোর্ট দেওয়া যায় কি না? অ্যাজ পার অ্যাজ দেয়ার প্রফেশনাল সাকসেস।
প্রশ্ন : ৯০’ এর দশকের দিকে এই দেশে মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানীগুলো প্রবেশ করতে শুরু করে। এরপরই কর্পোরেট কালচার এই দেশে প্রবেশ করে। সেই পাশ্চাত্য হাওলাতি কর্পোরেট কালচার এই দেশে প্রবেশ করেছে? নাকি নিজস্ব কর্পোরেট কালচার তৈরী হয়েছে আমাদের মত করে?
জি এম কামরুল হাসান : কর্পোরেট কালচার কী? কর্পোরেটের সংজ্ঞা কী? তা প্রথমে ক্লিয়ারিফাই করা দরকার। কর্পোরেট মানে হলো- ওয়ান্স ইউ আর ওয়ার্কিং কো-অপারেটিভলি। যখন আপনি কাজ করবেন। ইউ আর ইন দ্য ডিসিপ্লিন ম্যান। ইউ আর ডেডিকেটিং দ্য জব অ্যাট দ্য রাইট পার্সোন রাইট কাজ করছে- অ্যাজ এ হোল ইউ আর ওয়ার্কিং কো-অপারেটিভলি। মাল্টি ন্যাশনাল-ন্যাশনাল ব্যাপারটা আসলে এই রকম না? আপনি যদি আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে দেখেন- মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি কর্পোরেট উদ্যোগ- আই উড সে। কজ উই ওয়ার্ক টুগেদার টু ব্রিং সামথিং। আমরা সকলে মিলে দেশকে পরিবর্তনের জন্যে যুদ্ধ করেছি। একটি পলিটিক্যাল অর্গানাইজেশন- দ্যাট ইজ অলসো কর্পোরেট। যখন সবাইকে ডেডিকেটেড করে যার যার দায়িত্বগুলো দিয়ে যদি ঠিকমতো পালন করা হয় তাহলেই সেটি কর্পোরেট। মাল্টি ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনগুলো দীর্ঘ দিন ধরে- দে প্রাকটিস, যার যা কাজ তাকে সেই কাজ করতে হবে। রাইট অথরিটি এন্ড দ্য ডেডিকেশন। এই বিষয়গুলো মাল্টি ন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানগুলো খুব প্রাকটিস করে। এছাড়া আপনি যদি একটি ফ্যামিলির কথা চিন্তা করেন- ফ্যামিলি অলসো এ কর্পোরেট। এখানে গৃহিনী একটা কাজ করে। হাজবেন্ড একটা কাজ করে। সবাই একটা কো-অপারেটিভলি কাজ করে। একটা ছোট ফ্যামিলির ক্ষেত্রেও। সো এ এক্সামপল ফর চ্যানেল আই। ইট ইজ এ কর্পোরেট। বিকজ আপনি আপনার কাজটা করছেন। ক্যামেরাম্যান ক্যামেরা ম্যানের কাজ করছে অথবা ক্রু ক্রুর কাজ করছে। সাগর ভাই তার কাজ করছেন- ফর এ এক্সামপল। এভরিবডি টুয়িং হিজ ডিউটি। দিস অলসো কর্পোরেট। এখন বিষয় হচ্ছে যে, মোস্ট অব দ্য কোম্পানীজ ডাজ প্রাকটিস অর নট? দ্যাট ইজ দ্য কোয়েশ্চেন? মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানীগুলোতে যা হয় আর কি- তাদের যেহেতু মালিকানাগুলো একেক দেশের একেক প্রফেশনালরা কাজ করে- এই ক্ষেত্রে হয় কি? তারা যে জায়গায় কাজ করছে- এক্সামপল সাম মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানী ওয়ার্কিং ইন দ্য বাংলাদেশ। তাদের যে কান্ট্রি হেড থাকেন তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় যে, তুমি বিজনেস বা যা কিছু করো তা তুমিই ম্যানেজ করবে। তখন তিনি রেসপেকটিভ পজিশনগুলোতে যার যা কাজ আছে তা তিনি একটা ইউনিফর্ম ফরমেটে সেই কাজগুলো আদায় করেন- এন্ড দে আর মোর অফ ডিসিপ্লিনড। দে আর মোর অব ট্রাস্ট। তাদের প্রতিটিকে আমরা যাকে বলি- কেপিআই অর্থ্যাৎ কী পারফর্মিং ইন্ডিকেটরগুলি প্রতিটি ক্লিয়ারলি ডিফাইন থাকে যে, তুমি এটি করবে এবং সে এই কাজ করবে। অ্যাজ এ হোল মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানীগুলো ফলো দিস।
ন্যাশনাল কোম্পানীগুলোর ক্ষেত্রে যে প্রব্লেম হয়- সবকিছুই মালিক করতে চায়। দশ টাকার চেক সাইন থেকে শুরু করে- এভরি থিং দে ওয়ান্ট টু গেট। এই জায়গায় তারা এই ডিপেনডেনসিটিটা ক্রিয়েট করতে পারে না। তারা রিয়ালাইবিলিটি ক্রিয়েট করতে পারে না, আমার যে মানুষগুলো অর্গানাইজেশনে কাজ করে সেই মানুষগুলোকে যার যার দায়িত্বে তাকে ছেড়ে দিতে হবে। দেন এন্ড অব দ্যা দ্যাট- ইউ ক্যান আস্ক ফর ইট। কিন্তু ন্যাশনাল কোম্পানীগুলোতে এই কালচার এখনো পুরোপুরি গ্রো করে নাই।
প্রশ্ন : তার মানে ন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানগুলোতে মালিক এবং ওয়ার্কারদের মধ্যে একটা সম্পর্কের দূরত্ব থাকে?
জি এম কামরুল হাসান : ইটস নট দ্য ওয়ার্কার ইনফ্যাক্ট। ওয়ার্কার ছাড়াও ম্যানেজমেন্ট এবং বিভিন্ন মিড ম্যানেজমেন্টের কথা যদি বলি। আমাদের দেশের কালচারটার কথা যদি আপনি চিন্তা করেন, কান্ট্রির বয়স কতো? কান্ট্রির বয়স ফোরটি এইট ইয়ারস। এর ভেতরে আস্তে আস্তে ছোট ছোট কোম্পানী সব প্রতিষ্ঠানই কিন্তু কম বেশি কর্পোরেট।এন্ড দ্য থিং ইজ দ্যাট। আমি কতোটা প্রাকটিস করি।
প্রশ্ন : মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানীগুলোতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চাকরির সুযোগ অনেক কম। এসব প্রতিষ্ঠানের জন্যে জোশ ইংলিশ জানতে হয়, টানটান শরীর থাকতে হয়। আরোপিত শো ওয়ালাদের এই সব প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্যে বেছে নেয়া হয়- এটি কি ঠিক?
জি এম কামরুল হাসান : অনেকটাই ঠিক। আপনি ভুল বলেননি। ইট ইজ অল অ্যাবাউট- ইউ নো, ডিমান্ড ভার্সেজ সাপ্লাইয়ের যে গল্প আছে। ডিমান্ড ভার্সেস সাপ্লাই হলো- যদি আপনি ভাল ছেলেমেয়ে পেয়ে যান তখন তো আপনি সবাইকে নেবেন না? এটাই হলো বাস্তবতা- ঠিক আছে? আমি অন্য একটি এক্সামপল দেই। ফর এক্সামপল ইউ আর হোস্টিং দিস প্রোগ্রাম টু দ্য পয়েন্ট। হোয়াই ইউ আর ডুয়িং দিস? পারহেপস, দিস চ্যানেল হ্যাজ ফ্যাল দ্যাট- ইউ আর দ্য রাইট পার্সোন। তাই যে যে জায়গায় জন্যে যোগ্য তাকে সেই জায়গায় দিতে হবে। আমরা রিসেন্টলি একটা ফোরামও তৈরী করেছি- দ্যাট ইজ কল বাংলাদেশ কর্পোরেট ফোরাম। আই অ্যাম দ্য প্রেসিডেন্ট অব দিস ফোরাম। আমরা এই জায়গায় কাজ করছি। আমরা এই ব্রিজিংগুলো করতে চাই। আমাদের দেশে এই মুহুর্তে ১০ বিলিয়ন ডলার বাইরে চলে যাচ্ছে হিউম্যান রিসোর্সের জন্যে। আমাদের দেশে বিরাট জনগোষ্ঠি কাজ করে গার্মেন্টস ইন্ডাষ্ট্রিতে তারা শ্রীলংকা ও ইন্ডিয়ার। দে আর টেকিং হিউজ রেভিনিউ ফ্রম বাংলাদেশ। গার্মেন্টস ইন্ডাষ্ট্রি যখন গ্রো করতে শুরু করলো তখন প্রতিটি মালিকই খুব কুইক রিটার্ন আশা করেছে। যখনই সে কুইন রিটার্ন চেয়েছে তাই সেই সময় তারা লোকাল রিসোর্সের চিন্তা করেনি। তারা পরিপক্ক রিসোর্স বাইরে থেকে নিয়ে এসে তাদের দিয়ে ব্যবসা শুরু করেছে। আমি এটিতে দোষের কিছু দেখছি না। দিস ইজ ওয়ান অব দ্য বিগ পেট্টিয়টিক পয়েন্ট। আমার দেশের ছেলেমেয়েরা তাহলে কোথায় যাবে? এই জায়গায় আমাদের দেশের ছেলেদের যদি একটু অর্গানাইজড করা যা? তাদেরকে যদি গ্রুমিং করা যায়? আই অ্যাম শিওর দে আর ইকুয়ালি ট্যালেন্টেড। আরেকটা ব্যাপার হলো- প্রেজেন্টেশন স্কিল। আমি ইন্ডিয়ার পিপলের কথা বলছি এবং তাদেরকে ছোট করছি না- দে আর গুড ইন কমিউনিকেশন। দে ক্যান স্পিক ওয়েল। আমাদের দেশের ট্যালেন্টেড ছেলেমেয়ে তারা হয়তো নো হাউ আছে কিন্তু ওই যে ডিউ টু ল্যাক অব প্রেজেন্টেশন এর কারণে জায়গা দখল করতে পারছে না। সো, এই যে প্রেজেন্টেশন স্কিল, এই জায়গাটা তৈরী করতে না পারার জন্যে- অ্যাজ এ হোল আমি যেহেতু সিইও আমিও রেসপন্সিবল। যারা মালিক আছেন তারাও রেসপন্সিবল। অ্যাজ এ হোল ইউ নিড ওয়ার্ক টুগেদার ইউনাইটেডলি। সো দ্যাট আওয়ার ট্যালেন্ট আওয়ার রিসোর্সেস ইউল ওয়েল প্রটেক্টেড। এই জায়গায় কিন্তু আমরা কাজ করছি না। প্রতিটি জায়গায়- ইউ আস্কিং ভেরি কুইক রিটার্ন। আরেকটা জিনিস আপনি খেয়াল করবেন- আমাদের যারা বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেন। ৭০-৮০ কোটি টাকায় ফ্যাক্টরি মেশিন বসান। ৯০ কোটি টাকা- দে আর এক্সপেন্ডিং ফর মেশিনারীজ। তারা বিল্ডিং তৈরী করছে এবং মার্কেটিং ও কমিউনিকেশন এ খরচ করছে। কিন্তু যখনই পিপল ডেভলপমেন্টের প্রশ্ন আসে- দে আর ফিলিং আই শ্যুড নট ডু ইট। বিকজ তারা মনে করে- দে ওয়েস্টেজ অব মানি। তারা মনে করে আমার লোকগুলো যদি ডেভলপড হয় তাহলে তারা আরেক জায়গায় চলে যাবে। ইট ইজ ওয়ান অব দ্য পুওর থটস পার্টিক্যুলারলি ফর দ্য এম্পলয়ার এন্ড দ্য ওনার অব দ্য কোম্পানী। একশো কোটি টাকা মেশিনারীজে খরচ করেন তাহলে দশ লক্ষ টাকা ছেলে মেয়েদের ডেভলপমেন্টে খরচ করতে অসুবিধা কোথায়? এটি ট্রেনিং এন্ড ডেভলপমেন্ট।
আমি এক্সামপল দিতে চাই- বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান একজন বেস্ট প্লেয়ার- এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। তাকেও তো ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। তাকেও তো কোচিং দেওয়া হচ্ছে। আমরা যারা এমপ্লয়মেন্ট দিচ্ছি- দেয়ার পরের দিন থেকে- উই আর ফিলিং দ্যাট গো ব্রিং দ্যা রেজাল্ট। ইট ইজ নট পসিবিল। কিন্তু মাল্টি ন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের লোকদের টাইম টু টাইম ডেভলপড করে।
প্রশ্ন : বাংলাদেশ কর্পোরেট ফোরামের কথা আপনি বললেন- এই ফোরামের কাজ কী বাংলাদেশে?
জি এম কামরুল হাসান : আমরা যে জায়গা থেকে কর্পোরেট ফোরাম করলাম- তা হলো যে, আমরা বাংলাদেশের ট্যালেন্টকে পেট্রোনাইজ করতে চাই। আমরা চাই এই নো হাউকে স্কিলে কনভার্ট করতে। এই কর্পোরেট ফোরামে ব্যাংকার আছে, মিডিয়া, জার্নালিস্ট, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং সমাজের বিভিন্ন সোসাইটি আছেন। আমরা জেনারেল একটা ফোরাম করার চেষ্টা করেছি। অ্যাজ ইউ ওয়ান্টেড টু মিন দ্যাট- আমরা সবাই এক সাথে কাজ করি- ফর দ্যাট গ্রোয়িং বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ইজ গ্রোয়িং। আমরা আস্তে আস্তে মধ্যম আয়ের দেশের দিকে যাচ্ছি এবং ২০৪১ সালের ভেতরে- উই ওয়ান্ট টু কনভার্ট আওয়ারসেলভ অ্যাজ এ ডেভলপড কান্ট্রি। যখনই আপনি উন্নত দেশে কনভার্ট হতে যাবেন তখনই উন্নত পিপল লাগবে। বিকজ মেশিন ইজ মেশিন। হোয়াট এভার মেশিন। মেশিন এনি বডি ক্যান বাই। যার টাকা আছে সেই মেশিন কিনতে পারবে। বাট ওয়ান্স রোল দ্য মেশিন দ্যান ইউ নিড দ্য পিপল। সো পিপল শ্যুড বি ডেভলপড। আমাদের বেসিক অবজেক্টিভ হচ্ছে- হাউ ইউ ক্যান মেক শিওর? আওয়ার ট্যালেন্ট আওয়ার রিসোর্সেস ক্যান বি কনভার্টেড অ্যাজ এ স্কিল ম্যান পাওয়ার। এটি হলো একটি জায়গা। আরেকটি হলো- এম্পলয়ার ভার্সেস এম্পলয়ী। দেয়ার ইজ নো ব্রিজ। যারা চাকরি দেন তারা মনে করেন যারা কাজ করেন তারা – অল আর সেলেভস। চাকরিদাতারা মনে করে- আমি কাজ করাই তাই তুমি বেঁচে আছো। এই দুই শ্রেনীর মধ্যে রেসপেক্ট বা সম্মানের জায়গা খুবই কম। এই ব্রিজটা আমরা ক্রিয়েট করতে চাই। উই ওয়ান্ট টু মেক শিওর এম্পলয়ী উইল ফিল দ্যাট দে আর অলসো সেম- এম্পলয়ার উইল ফিল দ্যাট আই অ্যাম হেয়ার টু ডেডিকেট মাইসেলফ। অ্যাজ এ হোল টিমউইল বন্ডিং ওয়ার্ক টুগেদার- দ্য কান্ট্রি উইল মুভ।
প্রশ্ন : আপনি যদি মালিক হয়ে যান তাহলে আপনার প্রতিষ্ঠানের সবাই কি এই সব সুবিধা পাবেন।
জি এম কামরুল হাসান : অফকোর্স। আমি নিজে যদি না করি তাহলে কোনো কথা বললে তো আপনি বিশ্বাস করবেন না। প্রথমে আমাকে নিজের সেই বিশ্বাস প্রাকটিস করতে হবে। আমি যা বলি তা আমি মিন করি কিনা? ভাল কাজ করতে চাইলে আমি সবাইকে হেল্প করি। নানা মাধ্যমে তারা আসে। আমি ফ্রিতে হেল্প করি। আমি মিডিয়াতে শো করি কোনো টাকা নেই না। আমি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেমিনারে যাই কোনো টাকা নেই না। মানুষকে আমি মোটিভেটেড করতে চাই। কারণ সমাজকে আমার কিছু দেওয়ার আছে তাই আমি মনে করি এবং সমাজের জন্যে কাজ করি।
প্রশ্ন : কর্পোরেট সোসাইটি নিয়ে মধ্যবিত্তের ভাবনা আছে- মধ্যরাতে বাড়ি ফেরা মদ্যপ অবস্থায়। আর মেয়েদের বিসর্জন দিতে হয় ইচ্ছা বা অনিচ্ছায়? পাশ্চাত্য ঘরানার জীবন যাপন করতে হয়। এই বিষয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?
জি এম কামরুল হাসান : আমি একেবারেই এর সাথে দ্বিমত পোষণ করি। দ্য কান্ট্রি ইজ মুভেন ভেরি ফার্স্টার। এখন প্রচুর মেয়েরা কাজ করছে। বাইরে, সেলসে, মার্কেটিংয়ে, কর্পোরেটে প্রচুর মেয়েরা কাজ করছে এখন। আমি মনে করি- এনি বডি ইজ অ্যাবিউজড? এটি ঘরে বাইরে যে কোন জায়গায় হতে পারে? এই মানসিকতা থেকে অনেকেই বেরিয়ে আসছে। লোকাল ট্রিপিক্যাল অনেকে প্রতিষ্ঠানও এখন মেয়েদের পেট্রোনাইজ করছে। আমি মনে করি একটা মেয়ে একটা ছেলের চেয়ে ভাল কাজ করতে পারে -অ্যাজ এ হিউম্যান বিং। মেয়েরা গসিপ করুক বা না করুক তাদের ওয়েস্টেজ টাইম কম। কেন কম? বাইরে যায় না, সিগারেট খায় না, নীচে নামে না, আড্ডা মারে না- দে আর অল ফোকাসড ইন দ্য ওয়ার্ক। মেয়ে ছেলে এভাবে ভাগ করতে চাই না। সবাই মানুষ। এটাও যে হয় না তা নয়। ভারতে মেয়েরা রাত ১০টা অবধি কাজ করে। আমাদের দেশেও প্রচুর মেয়ে কল সেন্টারে কাজ করে।
প্রশ্ন : কাজের জায়গা শতভাগ কর্পোরেট কিন্তু পাশ্চাত্যের জায়গাটা এখনও ভর করেনি?
জি এম কামরুল হাসান : না। এখনো ভর করেনি। এখন মেয়েরা অত্যন্ত দাপটের সাথে কাজ করে। কোন কম্প্রোমাইজের জায়গা নাই। আমরা মেধা বিক্রি করে কাজ করি। আমার মেধা নাই। আমার জায়গা নাই। মেধা বিক্রির জন্যে মেধাকে প্রায়োরিটি দেওয়া উচিৎ।
প্রশ্ন : অনেক মেয়েরা কর্পোরেটে কাজ করতে চায় কিন্তু পারিবারিক একটা ট্যাবু থাকে?
জি এম কামরুল হাসান : পারসিভ করাটা ঠিক না। আপনি আমাকে পারসিভ করলেন, আমি আপনাকে যে, আমি এই রকম না, আমি ওই রকম না। পারসেপশনের কোন গল্প না। আমাদের দেশের ৫০ লক্ষ মেয়ে গার্মেন্টস এ কাজ করে। তারা তো কর্পোরেট। ওইভাবে যদি চিন্তা ভাবনা করেন।
প্রশ্ন : কর্পোরেটে মেধা নাকি গ্ল্যামার কোনটার প্রাধান্য বেশি?
জি এম কামরুল হাসান : অফকোর্স ট্যালেন্ট। একটা সময় সুন্দরী না হলে মেয়েদের বিয়ে দেয়া ডিফিক্যাল্ট ছিল। এখন ছেলেরা কিন্তু ট্যালেন্টেড মেয়ে খোঁজে। এই জায়গায় চেঞ্জ এসেছে। গ্ল্যামার নো- ইট ইজ অল অ্যাবাউট দ্য ট্যালেন্ট। আমরা ট্যালেন্ট ও কাজটাকে প্রায়োরিটি দিতে চাই। দিনের শেষে- মাকাল ফল ডাজ নট মেক সেন্স। ইনার বিউটি ইজ অল।
প্রশ্ন : কর্পোরেট কালচারে তার মানে মেয়েরা হাতিয়ার না?
জি এম কামরুল হাসান : নো। নট অ্যাট অল। সব প্রতিষ্ঠানে ৪০ শতাংশ মেয়ে থাকতে হবে। যদিও অনেক কোম্পানী মানে আর অনেক কোম্পানী মানে না। কিন্তু মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানীতে মেয়েরা কাজ করতে বাধ্য। এটি কর্পোরেট আইন।
প্রশ্ন : আপনার প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনেম লি. ইগলু এর কর্পোরেট কালচারের স্বরুপ কেমন?
জি এম কামরুল হাসান : আব্দুল মোনেম লি. একটি বিগ গ্রুপ। এটি কনস্ট্রাকশন জায়েন্ট। বাংলাদেশের উন্নয়নে আমরা অন্যতম পার্টনার। আমরা পদ্মা ব্রিজের পার্টনার, ঢাকার মেট্টোরেল, হাতির ঝিল প্রজেক্ট ও ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টসহ বাংলাদেশের বড় বড় রোড অবকাঠামোর পার্টনার। আমাদের চেয়ারম্যান এবং এমডি বাংলাদেশের লিজেন্ডারি পার্সন। তারা কোয়ালিটিতে বিশ্বাসী। আমাদের আরও কিছু অঙ্গপ্রতিষ্ঠান আছে- ইগলু তার মধ্যে একটি। আমরা কোকাকোলার পার্টনার এবং আব্দুল মোনেম ইকোনমিক জোন আছে আমাদের। আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।
প্রশ্ন : টিভি বিজ্ঞাপনে কোম্পানীগুলোর দেশ প্রেমের আতিশয্য দেখা যায় কিন্তু প্রডাক্টের কোয়ালিটিতে দেশপ্রেম দেখা যায় না। শুধু কি বিজ্ঞাপনে দেশপ্রেম?
জি এম কামরুল হাসান : প্রতিটি জায়গায় উন্নতির সুযোগ আছে। বিজ্ঞাপনে অনেক কমিউনিকেশন থাকে। বিজ্ঞাপনে আপনি যা প্রমিজ করবেন তা আপনাকে প্রডাক্টের ভেতর দিয়ে দিতে হবে। তা না হলে প্রডাক্ট মার্কেটে টিকবে না। আমরা যখন ইগলু নিয়ে কাজ করি- আমাদের যা প্রমিজ তাই রক্ষা করি। বিশ্বের ১০০ টা ব্র্যান্ডের ভেতরে ইগলু অন্যতম। ইগলু সবসময়ই বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড পেয়ে আসছে। কাস্টমার মোর পাওয়ারফুল এন্ড স্মার্ট। তাদেরকে চিট করা এখন সম্ভব না। এক দুই দিন চিট করা সম্ভব কিন্তু তারপরে কনজ্যুমার অন্য প্রডাক্টে চলে যাবে।
প্রশ্ন : বিশ্বের ১০০টা ব্র্যান্ডের ইগলুকে ১৫ মে নোংরা পরিবেশে আইসক্রিম বানানোর জন্যে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত?
জি এম কামরুল হাসান : আইসক্রিম ম্যানুফ্যাকচারিং প্রসেসটা বুঝলে আমাদের জন্যে ভালো হয়। প্রথম জিনিসটা হলো- আইসক্রিম প্রডাকশনের সময় পানি এর একটি অংশ। আরও সব কিছু একটা একটা করে সো আপ করা হয়। যখন একটু একটু করে নীচে পড়ে। কোন কারণে একটু চকলেট পড়লো, পানি পড়লো। তখন আমার ৬২ জন ক্লিনার আছে কোম্পানীতে তারা ওটা সেই সময়ই ক্লিন করেন। কিছু কিছু ওয়েস্টেজ প্রডাক্ট হয় আমরা রোলো মেশিন বলি। রোলো মেশিন হলো- চকবার তৈরীর সময় মেশিন যেটিকে সেন্সর করতে পারে না- তা একটা বক্সে পড়ে যায়। ভ্রাম্যমান আদালত যেদিন যায় সেদিন চার ঘণ্টা তারা আমাদের ফ্যাক্টরি ভিজিট করে। তারা চার ঘণ্টা চেক করার পর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ক্লেম করেছে। ভ্রাম্যমান আদালত নীচে যে পানি পড়ছে সেটাকে ধরে নোংরা পরিবেশ বলেছে। ১৮টা টেলিভিশন ক্যামেরা ছিল। কোনো চ্যানেল নোংরা পরিবেশ দেখাতে পারে নাই। কিন্তু মাননীয় ম্যাজিস্ট্রেট ক্লেম করেছেন। অস্বাস্থ্যকরের সংজ্ঞা কী? আমরা তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করেছিলাম। দুধ এবং সবকিছু চেক করে আপনারা কোন কিছু পাননি। তারপরেও বলছেন অস্বাস্থ্যকর কিভাবে?
প্রশ্ন : বাংলাদেশে কর্পোরেট কালচারের মানদণ্ড কোথায় দাঁড়িয়ে আছে?
জি এম কামরুল হাসান : আমরা গ্রো করছি?
প্রশ্ন : কোন জায়গায়? মেধাতে, গ্ল্যামারে, শিক্ষাতে নাকি কাজে?
জি এম কামরুল হাসান : আমরা কাজে গ্রো করছি। ন্যাশনাল কোম্পানীগুলো বিজনেসের ৯৩ পারসেন্ট নিয়ন্ত্রণ করছে। মাত্র ৭ পারসেন্ট নিয়ন্ত্রণ করছে মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানী। তারা ভেরি স্মল। আমাদের দেশের কোম্পানীই জিডিপি’তে ভুমিকা রাখছে অনেক বেশি।