ইউক্রেনে সাধারণ নাগরিকদের উদ্ধারে ন’ঘণ্টার জন্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রুশ সেনা। রবিবার এই সিদ্ধান্ত জানানোর পরেও ইউক্রেনকে আবার হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জানালেন, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান তখনই বন্ধ হবে, যখন রাশিয়ার সব শর্ত পূরণ হবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি রুশ নাগরিকদের কাছে যুদ্ধবিরোধী দাবি তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। তার মতে, যুদ্ধের ফলে দারিদ্র ও সঙ্কট তৈরি হবে। তাতে দুই দেশই প্রভাবিত হবে। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের আবেদন সত্ত্বেও রাশিয়া কিন্তু এখনও তার অবস্থান থেকে বিশেষ সরছে না।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ানকে রুশ প্রেসিডেন্ট টেলিফোন বার্তায় জানিয়েছেন, পরিকল্পনা অনুসারেই ইউক্রেনের উপর রাশিয়া বিশেষ অপারেশন চালাচ্ছে। ইউক্রেন যে আলোচনা করতে চাইছে তা আরও গঠনমূলক হওয়া দরকার।
এদিকে গোটা পৃথিবী জুড়েই যুদ্ধ বিরোধী স্লোগান উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই শান্তির পক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টও রাশিয়ার সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্য়ে জানিয়েছেন, এই আন্দোলন শুধু ইউক্রেনের শান্তির জন্য নয়। এটা আপনাদের দেশের জন্যও লড়াই। এখনও যদি আপনারা নীরব থাকেন, পরে শুধু দারিদ্রই কথা বলবে।
যুদ্ধবিরোধী আন্দোলনে শামিল হওয়ার অভিযোগে ইতিমধ্য়েই রাশিয়ায় হাজারখানেক প্রতিবাদীকে আটক করা হয়েছে। মূলত দেশের মধ্যে যাতে যুদ্ধবিরোধী দাবি না ওঠে সেই নিরিখে আগেই ব্যবস্থা নিচ্ছে রাশিয়া।
এদিকে রাশিয়ার আটটি রকেট হামলায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে মধ্য ইউক্রেনের ভিনিৎসিয়া বিমানবন্দর। রবিবার জেলেনস্কি নিজেই এ তথ্য দিয়ে, রুশ বিমানের জন্য আকাশপথ বন্ধের আবেদন করলেন।
কিয়েভ সীমানাতেও লাগাতার গোলা বর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়ার সেনা বাহিনী। ইউক্রেনের আঞ্চলিক সংবাদমাধ্যম সূত্র খবর, ইরপিনে রুশ সেনার হামলায় দুই শিশু-সহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। সেতু পার করিয়ে ওই এলাকার ইউক্রেনীয়দের উদ্ধারের কাজ চলছিল। সেই সময় ওই ঘটনা ঘটে। এর আগেও গত ৫ মার্চ ইরপিনে তিন ইউক্রেনীয় সেনার মৃত্যু হয়েছে।