গাজীপুরের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় ১১ আসামীকে খালাস দিয়ে হাই কোর্টের রায় ১৪ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ। ওই দিন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি।
নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত সাত আসামীর সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত সাত আসামী ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া চার আসামীকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। খালাসের রায় স্থগিত চেয়ে গতকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
আসামী নুরুল ইসলামের যাবজ্জীবন বহাল রাখা হয়, আর আপিল না করায় অহিদুল ইসলাম টিপুর যাবজ্জীবনও বহাল থাকে। তবে, মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আল আমীন ও ছোট রতন মারা যাওয়ায় তাদের মামলা নিষ্পত্তি করে দেন আদালত। খালাস দেওয়া হয় ১১ আসামীকে।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আমরা খালাস স্থগিত চেয়েছি এই গ্রাউন্ডে যে এই আসামীদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত সাক্ষী ছিলো। তার ভিত্তিতেই তাদের নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন ও মৃত্যুদণ্ডের সাজা প্রদান করা হয়েছিলো।
আসামীপক্ষের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, দীর্ঘ শুনানির পরে তাদের খালাসের রায় দেওয়া হয়েছে। গত ১৫ বছর তারা অনেকেই কারাগারে ছিলেন। আমাদের বক্তব্য ছিল, যারা কারাগারে ছিল তাদের ব্যাপারে যদি আবার স্টে হয় তাহলে তা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী হবে। আদালত সেসব শুনে আগামী ১৪ জুলাই অব্দি খালাসের স্থগিত করেছেন। সে পর্যন্ত আসামীদের কারাগারে থাকতে হবে।
আলোচিত আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স, আপিলসহ বিভিন্ন আবেদনের শুনানি চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি শুরু হয়ে শেষ হয় ৮ জুন।
২০০৪ সালের ৭ মে টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক সভায় আহসান উল্লাহ মাস্টারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।