রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আটক বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রের প্রমাণ পাওয়ার দাবি করেছেন পুলিশের আইজি। তিনি বলেছেন, সরকারের পতন ঘটাতে মোসাদের সঙ্গে আর্থিক চুক্তির কথা স্বীকার করেছেন ওই বিএনপি নেতা।
ইসরাইলী লিকুদ পার্টির নেতা এবং সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর দেখা হয়েছিল ভারতে। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের ছবি প্রকাশ হলে গণমাধ্যমে খবর আসে গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আসলাম চৌধুরী।
ওই বৈঠকটি ছিলো সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র, এমন অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করে ডিবি। রাজারবাগ পুলিশ লাইন অডিটরিয়ামে এক অনুষ্ঠান শেষে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে কথা বলেন পুলিশ প্রধান এ কে এম শহীদুল হক। বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের প্রেক্ষিতে যেসব তথ্য-উপাত্ত দিয়েছেন তাতে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে সে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত ছিলো। তারা মোসাদের সঙ্গে, ইসরাইলী গোয়েন্দা সংস্থার সাথে, ইসরাইলী লিকুদ পার্টির সঙ্গে যোগাযোগ করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করার, এখানে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার, সরকারকে অজনপ্রিয় করে, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সরকারকে উৎখাতের একটা প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলো।
অন্য সহযোগীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছেন আইজিপি। জানিয়েছেন, তার সঙ্গে কিছু সহকর্মী ছিলো। তাদের গ্রেপ্তার করতে পারলেই পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া যাবে। তখন বোঝা যাবে কারা লাভবান হচ্ছে, কারা এর সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি সাফাদির সঙ্গে অর্থের বিনিময়েই কন্টাক্ট হয়েছে। সে তাকে টাকা দিবে বিনিময়ে তারা সরকার উৎখাতের চেষ্টা চালাবে বলে স্বীকার করেছে।
আজই তার বিরুদ্ধে ডিবি ইন্সপেক্টর গোলাম রব্বানী বাদী হয়ে রাজধানীর গুলশান থানায় রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছে ডিবি। ইতোমধ্যে ওই মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে সরকার।