রাজধানীর লালমাটিয়ায় থাকা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)-এর কার্যালয় ছাড়তে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশের ওপর তিন মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এ আদেশের ফলে আসককে আপাতত তাদের কার্যালয় ছাড়তে হচ্ছে না বলে জানান রিট সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।
কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসকের করা রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার রুলসহ এ আদেশ দেয়।
হাইকোর্ট তার রুলে, রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্ত্তিক আসককে দুই লাখ টাকা জরিমানার আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আজ আদালতের আসকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না। তার সাথে ছিলেন আইনজীবী আসাদুজ্জামান, শাহিনুজ্জামান, জামিউল হক ফয়সাল ও রুনা রোহানি। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
এর আগে গত ১৪ নভেম্বর অভিযান চালিয়ে রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালত আসককে দুই লাখ টাকা জরিমানা ও দুই মাসের মধ্যে কার্যালয় ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
পরদিন ১৫ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলন করে আসক। ওই সংবাদ সম্মেলনে আসকের নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) আসক কার্যালয় ভবন মালিকের নকশাবহির্ভূত গ্যারেজের অংশে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তার আসক কার্যালয়ে এসে আবাসিক এলাকায় অফিস পরিচালনার কারণ জানতে চান। আসকের পক্ষ থেকে সব তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হয় এবং জানানো হয়, ভাড়াটিয়া হিসেবে সব শর্ত মেনেই আসক অফিস পরিচালনা করছে।
তিনি বলেন, সারাদেশে আসকের একটিই কার্যালয় এবং এখানে শুধু দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। আসক কোনো ধরনের আর্থিক কিংবা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে না। বাংলাদেশ এনজিও ব্যুরোসহ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের অনুমোদন নিয়েই আসক দীর্ঘ ৩৩ বছর ধরে মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করে আসছে।
সবকিছু জানানোর পরেও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমারত নির্মাণ আইন ১৯৫২ এর ৩(ক) ধারা মতে, আসককে আগামী দুই মাসের মধ্যে কার্যালয় ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশনার পাশাপাশি দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে আসক।