আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন: মাদকপাচার বন্ধ না করলে কঠোর হাতে দমন করা হবে। রক্তপাতে মেতে উঠবেন না। আশ্রয় নিয়েছেন, থাকছেন ভালভাবে থাকেন। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিহার করুন, না হলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সোমবার বিকালে বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশের অষ্টম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, কক্সবাজার দেশের অন্যতম পর্যটন নগরী। ট্যুরিস্ট প্যালেসে যে রক্তের হোলিখেলা শুরু করেছে দুর্বৃত্তরা, তাদের দমনে পুলিশকে কঠোর হতে হবে। কক্সবাজারের এসব চলতে পারে না। কারণ এটি বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন স্পট। এখানে দেশী-বিদেশী পর্যটক আসেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশের দক্ষতায় এখন রাতের সমুদ্র সৈকতও নিরাপদ বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, কক্সবাজার বিশ্বের দীর্ঘতম নিরবচ্ছিন্ন বালুকাময় সমুদ্র সৈকত। আমরা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে ব্র্যান্ডিং করতে চাই। কক্সবাজারকে বিশ্বে তুলে ধরার মাধ্যমে পর্যটন আকর্ষণ বাড়াতে কাজ করছে বর্তমান সরকার।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের বিশ্বমানের পর্যটন সেবা ও নিরাপত্তা প্রদানের মাধ্যমে দেশের পর্যটন শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০১৩ সালের ৬ নভেম্বর বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ট্যুরিস্ট পুলিশ। সে থেকে পর্যটকদের নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশের বিশেষ এ ইউনিট।
তাদের দক্ষতায় এখন রাতে সৈকতও নিরাপদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আগে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে রাতে তেমন একটা মানুষ নামতো না। ট্যুরিস্ট পুলিশের দক্ষতায় এখন সেটাও সম্ভব হয়েছে। রাতেও প্রচুর দেশী-বিদেশী পর্যটক সৈকতে নামেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি মোর্শেদুল আনোয়ার, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, কক্সবাজার সংরক্ষিত আসনের সাংসদ কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমানসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা।