Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

আর কখনোই স্বাভাবিক হবে না সাকিবের আঙুল

রোববার সাকিবকে দেখতে হাসপাতালে মাশরাফী

আর কখনোই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে না সাকিব আল হাসানের আঙুল। তবে ক্রিকেট খেলার জন্য উপযোগী করতে চলছে চিকিৎসা। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ার আগে নিজেই এমনটা জানিয়েছেন সাকিব। সুস্থ হয়ে জানুয়ারিতে বিপিএল দিয়ে ক্রিকেটে ফেরার আশাও তার।

সাকিব জানান, দীর্ঘদিন ক্রিকেট খেলতে না পারাটা হতাশার। তবে তিনিসহ আরো কয়েকজন না খেললেও বাংলাদেশ দলে প্রভাব পড়বে না।

হাতের আঙুলটা বেশ ভোগাচ্ছে। আপাতত চিকিৎসককে দেখিয়ে পাঁচদিন পর ফিরে আসবেন। ইনফেকশন শূন্যতে নেমে আসলেই হবে অস্ত্রোপচার। তখন আবারও যেতে হবে হবে অস্ট্রেলিয়া।

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক বলেন, ‘ইনফেকশনটা আমার সবচেয়ে বড় টেনশনের জায়গা। ওইটা যতক্ষণ পর্যন্ত জিরো পার্সেন্টে আসবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো সার্জেন্ট অপারেশনে হাত দেবে না। ওইটা হাত দিলে বোনে চলে যাবে, আর বোনে চলে গেলে পুরো হাত নষ্ট। তবে, এখন মিন পয়েন্টটা হচ্ছে কীভাবে ইনফেকশনটা কমানো যায়। এ আঙুলটা আর কখনো শতভাগ ঠিক হবে না। যেহেতু নরম হার, সেকারণে জোড়া লাগার সম্ভাবনা নেই।’

সাকিব বরাবরই অন্যরকম। যেনো কিছুই হয়নি। বলেন, সবকিছু হবে ঠিকঠাক। সুস্থ হতে লাগতে পারে তিন মাস। এক সপ্তাহ অবশ্য শেষ হয়েছে ইতোমধ্যে। এ বছর আর মাঠে নামা হচ্ছে না। তবে জানুয়ারিতে বিপিএল দিয়েই ২২ গজে ফিরতে আত্মবিশ্বাসী বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

সাকিব আরো বলেন, ইনফেকশনা দূর করতে হবে। ওইটা চলে গেলে আসলে বুঝা যাবে কত সময় লাগবে। আর আসল সার্জারি করা গেলে ছয় থেকে আট সপ্তাহ সময় লাগবে।

এ বছরটা আর খেলতে পারবেন। এর প্রভাবটা তো বিশাল। কিন্তু সাকিব সেটা মানতে নারাজ। বলেন, শুধু সাকিব-তামিম কেন? আরো কয়েকজন না খেললেও কোনো সমস্যা হবে না। জুনিয়রদের উপর শতভাগ আস্থা রাখছেন তিনি।

সাকিব আরো বলেন, আসলে আমাদের লাইফটা প্রতিদিন মাঠে যাওয়া প্র্যাকটিস করা বা কিছু না কিছু করা। সেখানে সারাদিন ঘরে বসা থাকাটা বিরক্তিকর। আমরা ভাবি, আমাদের ছাড়া টিম চলবে না। এই যে একটা সুযোগ আসল, তারা কিন্তু ঠিকই ব্যাক করেছে। আমাদের আরো কিছু প্লেয়ার সামনের কয়েকটা সিরিজে না থাকলেও কোন সমস্যা হবে না।

Exit mobile version