নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের চিঠির জবাব দেবেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাকে বরাদ্দের ৫ শতাংশ টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বরাদ্দ কম হয়েছে বলে তিনি যে অভিযোগ করেছেন, তা দায়িত্ব নিয়েই বলেছেন।
আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, আমি কি রাস্তার লোক, দায়িত্ব নিয়ে কথা বলেছি এবং দায়িত্ব নিয়েই কথা বলবো।
ওই ঘটনার পর প্রকল্প সংক্রান্ত কাজ বা অন্য কোনো কারণে মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তার ঘুষ গ্রহণের প্রমাণ মিললে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
পরে এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল মালেক সাংবাদিকদের বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তাকে ৫ শতাংশ ঘুষ দিতে না পারায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) কাঙ্খিত বরাদ্দ পায়নি’ বক্তব্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মহোদয়কে লিখিত আকারে জমা দিতে বলা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে সত্যতা যাচাই করবে মন্ত্রণালয়।
বুধবার চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন একটি অনুষ্ঠানে অভিযোগ করেন, যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা এসেছিলেন। তিনি একটি নতুন পাজেরো জিপ চান। সেটি দিলে নাকি চসিকের প্রকল্প অনুমোদন বা পাসে কোনো সমস্যা হবে না। আমি কোথা থেকে জিপ দেবো? কেন দেবো?
একনেকে পাস হওয়ার পরও বরাদ্দ ছাড় করাতে নানা আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হচ্ছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, বরাদ্দের ৫ শতাংশ দিয়ে দিলে নাকি যত বরাদ্দ চাইবো পাবো। আমি কোথা থেকে দেবো, কোন খাতে দেখাবো জানতে চাইলে বলা হলো, ঠিকাদারের কাছ থেকে ম্যানেজ করতে। এ কথার কোনো যুক্তি আছে? আমি চোর হয়ে আপনার পকেট ভারী করবো?
গণমাধ্যমে এ সংবাদ প্রচারের পর এমন অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ চেয়ে আ জ ম নাছির উদ্দিনকে চিঠি দেয় স্থানীয় সরকার বিভাগ। চট্টমগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অর্থ বরাদ্দের জন্য কোন কর্মকর্তা কোথায়, কখন এবং কীভাবে ঘুষ চেয়েছেন, তা সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের কাছে জানতে চেয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।