রুটিনসহ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার দাবিতে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অবস্থান নিয়েছিলেন তিতুমীর কলেজের ছাত্র সিদ্দিকুর রহমান। আন্দোলনরত অবস্থায় পুলিশের কাঁদানে গ্যাসের শেলে দুই চোখে আঘাত পান তিনি। ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায় একজন পুলিশ সদস্য খুব কাছ থেকে টিয়ার শেল ছোড়ে যা সরাসরি আঘাত হানে সিদ্দিকুরের চোখে। রক্তে লাল হয় শাহবাগের রাজপথ আর গুটিয়ে আসে দরিদ্র একটি পরিবারের স্বপ্ন। সিদ্দিকুর তার মা’কে কথা দিয়েছিলেন স্নাতক শেষ করেই বিসিএস দেবেন। তারপর আর কোন চিন্তা থাকবে না অভাবের সংসারে। দিন-রাত কষ্ট করে যে বড় ভাই সিদ্দিকুরকে লেখাপড়া করিয়েছেন, তার সবচেয়ে বড় কষ্ট সৃষ্টিকর্তা কেন তার চোখ না নিয়ে সিদ্দিকুরের চোখ নিয়ে গেলেন। সিদ্দিকুরসহ তার পুরো পরিবারের আশা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সিদ্দিকুর ফিরে পাবে তার চোখের আলো। নিজ যোগ্যতায় নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায় সিদ্দিকুর।
শনিবার সিদ্দিকুরের দুই চোখেই অপারেশন করা হয়। রোববার সকালে চিকিৎসকরা সিদ্দিকুরের চোখের অবস্থা নিয়ে বোর্ড মিটিং করেন। অপারেশন শেষে ডাক্তাররা জানান, তার দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবার আশা ক্ষীণ। জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালের পরিচালক ডা. গোলাম মোস্তফা চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘সিদ্দিকুরে দুই চোখই মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, ডান চোখটা পুরোটাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, ফলে ডান চোখ প্রায় অকেজো হয়ে গেছে। বাম চোখে খানিকটা আশা আছে দেখার, কারণ বাম চোখ ৮০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আমরা তাকে অবজারভেশনে রেখেছি। তার দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার বিষয়ে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।’
বিস্তারিত দেখুন ডিজিটাল শর্টে: