চলছে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস ২০১৮। এদিনকে কেন্দ্র করে এফডিসি, শিল্পকলা একাডেমিসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠন উদযাপন করছে যথাযথ মর্যাদায়। দিনটিকে ঘিরে বাংলা চলচ্চিত্রের সংকট ও সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলছেন সকলেই। প্রতিবারের মতো এবারও জাতীয় চলচ্চিত্র দিবসে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে চ্যানেল আই।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটায় ‘গানে গানে সকাল শুরু’ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণের চেতনা চত্বরে শুরু হয় চলচ্চিত্রের মানুষদের নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান। যেখানে বাংলা চলচ্চিত্রের কালজয়ী গান গেয়ে শোনান কিংবদন্তিতূল্য কণ্ঠশিল্পী খুরশিদ আলমসহ নবীন শিল্পীরা। এসময় বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় গানগুলোর সাথে মাথা দুলাতে দেখা গেছে উপস্থিত অতিথি ও দর্শকদের।
গানের ফাঁকে ফাঁকে চলচ্চিত্র নিয়ে কথাও চলে। বাংলা চলচ্চিত্রে এই মুহূর্তে তিনটি জিনিষের প্রয়োগ খুব প্রয়োজন বলে মনে করেন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও চ্যানেল আইয়ের বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ। তার মতে: চলচ্চিত্রকে ঠিকঠাকভাবে তুলে ধরতে এই মাধ্যমটিতে প্রচুর মেধা সম্পন্ন মানুষের সমাগম ঘটা দরকার। রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতা দরকার। এবং এই মুহূর্তে আমাদের দেশিয় চলচ্চিত্র মৌলিক গল্পের দিকে যাওয়া দরকাল। তাহলেই কেবল বাংলা চলচ্চিত্রে সুদিন ফিরে আসবে।
শাইখ সিরাজের এমন বক্তব্যকে সমর্থন করে অতিথিরাও জানান যে, আমাদের পথে যেভাবে হাঁটতে শিখেছিলাম, সেই হাঁটাটা বিদেশি সিনেমা নকল করতে গিয়ে আমরা ভুলে গেছি। এখন আমাদের নিজেদের গল্পের ছবি বানিয়েই সেই পথটা পুনরুদ্ধার করতে হবে।
জাতীয় চলচ্চিত্র দিবসের এই অনুষ্ঠানে চ্যানেল আই চেতনা চত্বরে উপস্থিত ছিলেন নির্মাতা ছটকু আহমেদ,অনুপম হায়াৎ, সাহিত্যিক আমীরুল ইসলাম, আনন্দ আলোর সম্পাদক রেজানুর রহমান, অভিনেতা টেলি সামাদ, ওয়াহিদা মল্লিক জলি, শর্মিলী আহমেদ, আফরোজা বানু ও জলিল।
উপস্থিত বক্তারা তাদের কথার মধ্য দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রের সংকট ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে গান গেয়ে শোনান এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় কমেডি অভিনেতা টেলি সামাদ।
ছবি: জাকির সবুজ