কোচিং ডিরেক্টর বলা হলেও ত্রিদেশীয় সিরিজে আদতে হেড কোচের ভূমিকাতেই থাকছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। দেশি কোচ হিসেবে নিজেকে প্রমাণের মঞ্চও। যে মঞ্চে নিজেদের চ্যাম্পিয়ন দেখতে চান টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক।
সোমবার মিরপুরে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ত্রিদেশীয় সিরিজ। ম্যাচের আগেরদিন দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসে খালেদ মাহমুদ বললেন, ‘নতুন একটা বছর, নতুন একটা সিরিজ আমাদের জন্য। আমরা ভাল করার জন্যই কদিন অনুশীলন করলাম। আমরা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত। এই টুর্নামেন্টে আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে চাই।’
ত্রিদেশীয় সিরিজ সামনে রেখে ২৭ ডিসেম্বর সুজনের অধীনে শুরু হয় মাশরাফী-সাকিবদের অনুশীলন ক্যাম্প। প্রথম কয়েকদিন পেসারদের নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করেন তিনি। পরে যোগ হন পেসবোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ।
সিরিজের জন্য বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতি নিয়ে সুজন বললেন, ‘আমরা বিশেষ কিছু কাজের প্রতি নজর দিয়েছিলাম। বেশ ভালভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছি। যে সব বিষয় নিয়ে চিন্তা ছিল, সেগুলো নিয়ে কাজ করতে পেরেছি। ছেলেরাও সবকিছুতে সমর্থন করেছে, সবাই একাগ্র। আমরা যা করতে চেয়েছি, সেটা পেরেছি। যদিও প্রথম সপ্তাহটা স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনের উপরে ছিল। ওই সময়ে পেস বোলার নিয়েও কাজ করেছি। নতুন বলের বোলিংটা ভাবনা ছিল। যেকোনো ফরম্যাটে শুরুতে উইকেট নেয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। বোলারদের সঙ্গে কাজ করে চেষ্টা করেছি লাইন এন্ড লেন্থ যতটা নিয়ন্ত্রণ রাখা যায়।’
ঘরের মাঠে সিরিজ হলেই স্পিনারদের উপর ফোকাস চলে যায়। এবার কি তবে পেসারদের কাছ থেকে বাড়তি প্রত্যাশা থাকবে? সুজন জানালেন, ‘স্পিন আমাদের শক্তির জায়গা। সেইসাথে পেস বোলাররা আমাদের জন্য চালিকাশক্তি। পাঁচজন স্পিনার নিয়ে খেলতে পারব না নিশ্চয়ই। তাতে পেস বোলিংটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের পেস বোলিংয়ে বৈচিত্র্য আছে। অভিজ্ঞ মাশরাফী লিড দেবে। অন্য যারা আছে সবাই ভিন্নরকমের বোলার। আমরা হয়তবা ছোট ছোট জায়গায় ভাল করেছি। কিন্তু ধারাবাহিকতার জায়গায় যদি বলেন, ফাস্ট বোলাররা ভাল করেনি। পেস বোলারদের থেকে আমাদের তাই চাওয়ার আছে।’
ছবি: সাকিব উল ইসলাম