নাজমুল হোসেন শান্ত, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও সাব্বির রহমানের দারুণ ব্যাটিংয়ে ভর করে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছে আবাহনী লিমিটেড। উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাবকে ১৮৯ রানের হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে আবাহনী। দলীয় ২২ রানেই শ্রীলঙ্কান তারকা কুশল সিলভাকে হারায় দলটি। তবে দ্বিতীয় উইকেটে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান জহুরুল ইসলামের সঙ্গে দলের হাল ধরেন শান্ত। দুজনে ৮৯ রান যোগ করেন।
৪৫ রান করে জহুরুল আউট হওয়ার পর অধিনায়ক মোসাদ্দেকের সঙ্গে আরও একটি দারুণ জুটি গড়েন শান্ত। তৃতীয় উইকেটে তাদের ব্যাট থেকে আসে ৯১ রান।
এরপর অবশ্য ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিল উত্তরা। ৪৫ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছিল তারা। কিন্তু শেষদিকে সাব্বির রহমানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেটে ২৮৩ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে আবাহনী।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৩ রানের ইনিংস খেলেন শান্ত। ৮৪ বলে ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় সাজানো তার ইনিংসটি শেষ হয় রানআউটের খাড়ায়।
৬৫ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৬৪ রান করেন মোসাদ্দেক। তবে ম্যাচসেরা সাব্বির রহমান মাত্র ৩৫ বলে সমান ৪টি করে চার ও ছক্কায় ৬১ রানের ইনিংস খেলেন।
উত্তরার পক্ষে ৭০ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পেয়েছেন নাহিদ হাসান।
জবাবে রুবেল হোসেনের তোপে শুরু থেকেই সংগ্রাম করতে থাকে উত্তরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে গুটিয়ে যায় মাত্র ৯৬ রানে। সর্বোচ্চ ২৪ রানের ইনিংসটি খেলেন সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামা শাখির হোসেন।
আবাহনীর পক্ষে ১৬ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন রুবেল। আরিফুল হাসান ও সাব্বির রহমান ২টি করে উইকেট নেন।
অন্য ম্যাচে, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের টি-টুয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে সহজেই হারিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শেখ জামালকে ৭ উইকেটে হারায় মোহাম্মদ শরীফের দল।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৩ বল হাতে থাকতে ১৮০ রানে অলআউট হয়ে যায় শেখ জামাল। তাদের কোনো ব্যাটসম্যানই হাফসেঞ্চুরি করতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৪২ রান আসে ইলিয়াস সানির ব্যাটে। রাকিন আহমেদ ৩৪ ও তানভীর হায়দার ৩২ রান করেন। বাকিদের কেউ উল্লেখ করার মতো স্কোর করতে পারেননি।
ব্রাদার্সের হয়ে মেহেদী হাসান ও সাখাওয়াত হোসেন তিনটি করে উইকেট নেন। এছাড়া মোহাম্মদ শরীফ দুটি ও সাইফুল্লাহ একটি উইকেট নেন।
সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ধাক্কা খেয়েছিল ব্রাদার্সও। তবে মিজানুর রহমান ও চীরাগ জনির জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটের জয় পায় দল। ১০ চারে ৭১ বলে ঠিক ৭১ রানের ইনিংস খেলেন মিজানুর। ৬৬ বলে চারটি চার ও দুই ছক্কায় ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান চীরাগ। অপরাজিত ৩২ রানের ইংনিস খেলে দলের জয়ে অবদান রেখেছেন ইয়াসির আলিও।
শেখ জামালের হয়ে শহিদুল ইসলাম দুটি ও তানভীর হায়দার একটি উইকেট নেন।