চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

আবার পেছালো তিন্নি হত্যা মামলার রায়

হত্যা মামলার রায়ের দিন আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেয়ার আবেদন করেছেন নিহত মডেল তিন্নির বাবা ও চাচা। তাদের আবেদন গ্রহণ করে আগামী ৫ ডিসেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদালত। ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের বিচারক কেশব রায় চৌধুরীর এ মামলার রায় ঘোষণার কথা ছিল।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেছেন নিরাপত্তাহীনতার কারণে গুরুত্বপূর্ণ ২ সাক্ষী আদালতে হাজির হননি। অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ দুই সাক্ষী তিন্নির বাবা ও চাচা বলেছেন তাদেরকে আদালতে ডাকা হয়নি। রায় হবে এমন খবর সংবাদপত্রে জানতে পেরে তারা আদালতে এসে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য আবেদন করেন।

২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে ঢাকার কেরাণীগঞ্জের বুড়িগঙ্গা নদীর ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ১১ নম্বর পিলারের পাশে মডেল তিন্নির মরদেহ পাওয়া যায়। পরদিন নাম না জানা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন কেরাণীগঞ্জ থানার তৎকালীন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. সফি উদ্দিন।

মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কাইয়ুম আলী সরদার। এরপর নিহতের লাশের ছবি পত্রিকায় ছাপা হলে সুজন নামে নিহতের এক আত্মীয় লাশটি মডেল তিন্নির বলে শনাক্ত করেন। পরে মামলাটি চাঞ্চল্যকর উল্লেখ করে ২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর তদন্তভার সিআইডিতে ন্যস্ত হয়। তদন্তের দায়িত্ব পান তৎকালীন সিআইডির পরিদর্শক ফজলুর রহমান।

পরে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পরিদর্শক সুজাউল হক, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) গোলাম মোস্তফা, এএসপি আরমান আলী, এএসপি কমল কৃষ্ণ ভরদ্বাজ এবং এএসপি মোজাম্মেল হক।

সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর সাবেক ছাত্রনেতা ও সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০১০ সালের ১৪ জুলাই অভির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। এরপর আদালতে ৪১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জন সাক্ষ্য দেন।

অভি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় তাকে ধরা সম্ভব হয়নি জানিয়ে অভিযোগপত্রে বলা হয়, ১৯৯২ সালে রমনা থানায় দায়ের করা একটি অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছিল অভির। ওই মামলার রায়ের পর হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে পালিয়ে কানাডা চলে যান তিনি।