বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ছাত্রলীগের দশ নেতাকর্মীর ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরআগে মঙ্গলবার তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় চকবাজার থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
রিমান্ডে নেয়া ছাত্রলীগের দশ নেতাকর্মীরা হলেন, বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান রাসেল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, উপ সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাতুল ইসলাম জিওন, গ্রন্থনা ও গবেষণা সম্পাদক ইশতিয়াক মুন্না, ছাত্রলীগ কর্মী মুনতামির আল জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, মোজাহিদুর রহমান, মেহেদী হাছান রবিন।
এরআগে মঙ্গলবার দুপুরে আবরার হত্যায় চকবাজার থানায় দায়ের করা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।
রোববার রাত ৮টার দিকে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে শিবির সন্দেহে সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয়তলা থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আবরার ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন, ১০১১ নম্বর রুমে থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া।
জানা যায়, সন্ধ্যা সাতটা থেকে আটটার মধ্যে রুম থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় আবরারকে। রাত দুইটার সময় তার লাশ পাওয়া যায় একতলা আর দুইতলার মাঝের স্থানে।
সোমবার ডা. মো. সোহেল পরীক্ষা করে জানান: হাতে, পায়ে ও পিঠে আঘাতের স্থানে রক্তক্ষরণ ও তীব্র ব্যথাতেই আবরারের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে বুয়েটের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মাসুক এলাহী চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: রোববার রাত ৩টার দিকে ছাত্রদের মাধ্যমে খবর পেয়ে শেরেবাংলা হলের প্রথম ও দ্বিতীয় তলার মাঝামাঝি জায়গায় ফাহাদকে পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। তখন তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আবরারের বাবা মো. বরকত উল্লাহ’র চকবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পরে সেটা একটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহন করা হয়।