‘আমার উপর আনিস ভাইয়ের ভরসা ছিলো। কোনো শিল্পীর সহায়তার দরকার হলে উনি আমাকে ফোন করে বলতেন যে, মিশা। অমুকের এই সমস্যা একটু সহায়তা করো। আমিও আমার সাধ্যমত সহায়তা করতাম। আনিস ভাই শিল্পীদের কষ্ট দেখতে পারতেন না। উনি অনেক শিল্পীকে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন বিভিন্নভাবে। ওই জায়গাটা উনি হয়তো আমার মধ্যে খুঁজে পেয়েছিলেন, তাই হয়তো আমাকেই ফোন করতেন।’
সদ্য প্রয়াত কৌতুক অভিনেতা আনিসকে স্মরণ করে এভাবেই স্মৃতিচারণ করছিলেন শিল্পী সমিতির সভাপতি ও খল অভিনেতা মিশা সওদাগর।
এফডিসিতে মিশা সওদাগর ছাড়াও আনিসের জানাজায় উপস্থিত ছিলেন প্রবীন অভিনেতা আলমগীর, ওমর সানী, ড্যানি সিডাক। এসময় আর কোনো শিল্পী বা অভিনেতাকে দেখা যায়নি। প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু, পরিচালক শাহ আলম কিরণ ও অপূর্ব রানাকেও এসময় দেখা যায়।
খুব কম সময়ের নোটিশে এফডিসিতে কৌতুক অভিনেতা আনিসের মরদেহ নিয়ে আসার কথা উল্লেখ করে শিল্পী সমিতির সভাপতি বলেন, আনিস ভাইকে সকালেই তার গ্রামের বাড়ি ফেনীর ছাগলনাইয়ায় নিয়ে যাওয়ার কথা শুনে আমি উনার জামাতাকে ফোন দেই। তাকে বলি, আনিস ভাইয়ের কর্মস্থল এফডিসি। হাসমত ভাই, টেলি সামাদ ভাই, দিলদার ভাইয়েরা আমাদের কিংবদন্তি। বিদায় বেলায় এই এফডিসিতে যদি তারা না আসেন তাহলে কেমন দেখায়! এজন্য অল্প সময়ের জন্য হলেও অনুরোধ করে এফডিসি নিয়ে আসি।
আনিসের মরদেহ ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলায় বল্লবপুর গ্রামে দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সঙ্গে আছেন তার জামাতা শিমুল। তিনি চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান, বাদ মাগরিব সেখানে তৃতীয় নামাজে জানাজা শেষে দাফন করা হবে।