Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

আদালত চোখ বন্ধ করে থাকতে পারে না

ব্যাংকসহ দেশের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম দেখে আদালত চোখ বন্ধ করে থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেড (আইএলএফএসএল) এর বিষয়ে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানিতে রোববার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের আপিল বেঞ্চ এই মন্তব্য করেন।

অন্যদিকে আজ হাইকোর্ট তার আদেশে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের সার্বিক অবস্থার বিষয়ে লিখিত বক্তব্যসহ আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টায় আপিল বিভাগে উপস্থিত হতে বলেছেন। এছাড়া   আইএলএফএসএল এর চেয়ারম্যান ইব্রাহীম খালেদকে আইএলএফএসএল এর বিষয়ে ওইদিন লিখিত ব্যাখ্যা আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

আদালতে আইএলএফএসএল এর পাক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করিম ও খায়রুল আলম চৌধুরী। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্তি অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।

এর আগে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেড (আইএলএফএসএল) এর
আমানতকারীরা তাদের আমানতের টাকা উত্তোলনের জন্য আবেদন করলে তাদের জানানো হয় আইএলএফএসএল আমানতের টাকা দিতে অক্ষম। ওই পরিস্থিতিতে আমানতকারীরা কোম্পানিটিকে দেউলিয়া ঘোষণা করার জন্য ২০১২ সালের ডিসেম্বরে হাইকোর্টে আবেদন করেন। সর্বশেষ গত ১২ জানুয়ারি আইএলএফএসএল আদালতে একটি লিখিত দিয়ে বলে, বর্তমান অবস্থায় আইএলএফএসএল এখন একসাথে তার সমস্ত পাওনাদারদের পাওনা পরিশোধ করতে পারবে না। তবে কোম্পানি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আবেদনকারীদের অর্থ ফেরত দিবে।’

এছাড়া আইএলএফএসএল এর সাত বিনিয়োগকারীর টাকা ফেরত চেয়ে করা মামলার শুনানি নিয়ে গত ২১ জানুয়ারি বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ আইএলএফএল পরিচালনার জন্য স্বাধীন পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ইব্রাহিম খালেদকে নিয়োগের নির্দেশ দেন।

এসময় হাইকোর্ট বলেন: দেশের বৃহত্তর স্বার্থ বিবেচনা করে কোম্পানিটিকে (আইএলএফএসএল) দেউলিয়া ঘোষণা না করার পরিবর্তে যদি অভিজ্ঞ, সৎ, দক্ষতাসম্পন্নদের দিয়ে কোম্পানি ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ পায় তাহলে বরং কোম্পানিটির অংশিদার ও আমানতকারীদের স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।

Exit mobile version