আদালতের রায় আগামী ৪ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করা হবে বলে সোমবার সর্বোচ্চ আদালতকে জানানোর পর ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যহতি পেলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ও কারা মহাপরিদর্শক।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগে হাজির হয়ে রায় বাস্তবায়নের বিষয়টি আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতকে নিশ্চিত করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী ও কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হক। এরপর সর্বোচ্চ আদালত এদেরকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যহতি দিয়ে এবিষয়ে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারী আদেশের দিন ধার্য করেন।
আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইব্রাহীম খলিল। আর কারা কর্তৃপক্ষের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সফিকুল ইসলাম। আদালতে রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
আদালত থেকে বেরিয়ে আইনজীবী ইব্রাহীম খলিল সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওনারা দু’জন আজ আদালতে হাজির হয়েছিলেন। রায় আংশিক বাস্তবায়ন বিষয়ে ওনারা নিঃস্বার্থ ক্ষমা চেয়েছেন এবং আগামী ৪ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে আদালতের রায় পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়নের কথা বলেছেন। আদালত ওনাদের দুজনকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যহতি দিয়েছেন।’
পদোন্নতি বিষয়ে ছয় কারা কর্মকর্তার (জেল সুপার) করা রিভিউ শুনানি শেষে গত বছরের ২২ এপ্রিল আপিল বিভাগ আবেদনকারীদের (ছয় জেল সুপার, চলতি দায়িত্ব) পদোন্নতির বিষয়টি বিবেচনা করতে বিবাদীদের নির্দেশ দেন।
সে রায়ের নির্দেশনা বাস্তবায়িত না হওয়ায় পদোন্নতি প্রত্যাশী মো. নুরুন্নবী ভূঁইয়াসহ পাচ কর্মকর্তা গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর আদালত অবমাননার অভিযোগে পৃথক পাচটি আবেদন করেন। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২০ নভেম্বর আপিল বিভাগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী ও কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হককে আদালতের রায় বাস্তবায়ন না হওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে ৪ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ আদালতে তলব করেন।