টানা ব্যর্থতা ও তীব্র সমালোচনার মুখে শেষপর্যন্ত পাকিস্তানের ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিতে বাধ্য হলেন আজহার আলি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে হারের পর তাকে সরে যেতে বলেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। শুরুতে রাজি না হলেও বোর্ডের অনড় অবস্থানের কারণে নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন তিনি। টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদকে আজহারের স্থলাভিষিক্ত করেছে পিসিবি।
পাকিস্তান ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব আর বিতর্ক হাত ধরাধরি করে চলে! সাম্প্রতিক সময়ে ব্যর্থতার জেরে আজহারও সেই পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিলেন। বাংলাদেশের কাছে ৩-০ ব্যবধানের হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানে বিধ্বস্ত হয়েছিল পাকিস্তান। আসনটা তখনই নড়বড়ে হয়ে পড়েছিল।
সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে হেরে দেশে ফেরার পর তাই আজহারের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তই নেয় পিসিবি। দল তো ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হচ্ছিলই, সঙ্গে তার সময়েই আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ৯-এ নেমে যায় পাকিস্তান। পরিবর্তনের সিদ্ধান্তটা তাই অবধারিতই ছিল।
২০১৫ বিশ্বকাপের পর মিসবাহ-উল-হক ওয়ানডেকে বিদায় জানালে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পান আজহার। এরপর তার নেতৃত্বে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুবার, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একবার করে ওয়ানডে সিরিজে জেতে পাকিস্তান। ১০টি দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজে নেতৃত্ব দিয়ে ৫টিতে জয় এনে দেন আজহার।
সব মিলিয়ে পাকিস্তানকে ১২টি ম্যাচে জয় এনে দিয়েছেন আজহার। হারের সংখ্যাটি সেখানে ১৮টি ম্যাচে। এখন সরফরাজের কাঁধে থাকছে ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে দলকে বের করে আনার চ্যালেঞ্জ। অবশ্য আজহারের জন্যও চ্যালেঞ্জের হাতছানি রেখেছে পাকিস্তান বোর্ড। মিসবাহ-উল-হক টেস্ট ছেড়ে দিলে আজহারকে সাদা পোশাকের অধিনায়ক করার কথা ভাবছে পিসিবি।