বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খানের স্ত্রী তানিয়া খানের (৫০) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ার পর শনিবার বগুড়ার সারিয়াকান্দি গ্রামের বাড়িতে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
মারুফ কামাল খানের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তানিয়া খান মানসিক রোগী ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর আদাবর থানাধীন রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ সংলগ্ন নিজ বাসায় গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শাহীনুর রহমান বলেন, ‘পরিবার দাবি করেছে যে তিনি গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় মারুফ কামাল খানের ছেলে রিফাত আদাবর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। তবে বিষয়টি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যাবে।’
তবে তানিয়া খানের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, তানিয়াকে গলা টিপে প্রথমে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। পরে তার গায়ে গ্যাসের চুলা থেকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দগ্ধ অবস্থায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করার পর শুক্রবার রাতে তার মৃত্যু হয়। শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে মারুফ কামাল খান লাশ গ্রহণ করেন।
ঢামেকের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক সোহেল মাহমুদ জানান, তার শরীরের ৭৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এ কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। তবে তার শরীরে কোন ধরনের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
এর আগে ২০১৪ সালের ১৩ জুন তানিয়া খান মোহাম্মদপুর থানায় তার স্বামীর বিরুদ্ধে একটি হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করেন। মামলায় মারুফ কামালের বিরুদ্ধে একাধিক নারীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক করার অভিযোগ এনে তানিয়া খান অভিযোগ করেছিলেন যে, এর প্রতিবাদ করায় তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন এবং বিভিন্ন রকম হুমকি দেয়া হচ্ছিল। এর জের ধরে মোহাম্মদপুরের বাসায় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মারুফ কামাল মারধর করেন। সে উত্তেজিত হয়ে আমাকে চুলের মুঠি ধরে মারপিট করে এবং লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করে।