বন্দর এলাকাসহ নারায়ণগঞ্জ শহরের বেশ কিছু এলাকায় নির্বাচনী সহিংসতার আশঙ্কা করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার বলছেন, হয়রানির কারণে নির্বিঘ্নে ভোট প্রচারণায় অংশ নিতে পারছেন না তিনি।
তৈমুরের দাবি, ভোটকে কেন্দ্র করে নিজ দলের কর্মীদের পুলিশ হয়রানি বন্ধের পাশাপাশি নৌকার পক্ষে ভোট দেবার জন্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বলপ্রয়োগ করছে।
সেলিনা হায়াৎ আইভী আসবেন বলে বৃহস্পতিবার থরে থরে ফুল নিয়ে কর্মীদের দীর্ঘ অপেক্ষায় ছিলেন। এক সময় তিনি এলেন সেই ফুলের বৃষ্টির আর কর্মীদের ভালোবাসা নিয়ে নগরীর দেউভগ এলাকায় ভোট প্রচার শুরু করলেন।
শেষ মুহূর্তের ভোট প্রচারে আইভী ভরসার পাশাপাশি জানালেন শঙ্কার কথাও। সবাইকে চোখ-কান খোলা রাখার কথা বলে জানান, প্রশাসন তার পক্ষে কোনো দিন ছিলো না। জনতাই তার ভালোবাসার পয়গাম।
এদিন সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডগুলোতে ভোট প্রচারে ব্যাস্ত সময় পার করছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। ১৬ দিনের প্রচারণায় কোনো ধরনের নৈরাজ্য হয়নি বলে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
তবে পুলিশের ভূমিকা তাকে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নিয়ে কিছুটা শঙ্কিত করছে বলে দাবি করেন। আওয়ামী লীগের নির্দেশে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করলেন বিএনপির সাবেক এ নেতা।
১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নির্বাচনে ৫ লাখ ১৯ হাজার ভোটারের জন্য ২৭টি ওয়ার্ডে ভোট হবে ইভিএম এ। মোট ভোট কেন্দ্র ১৯২টি।