উইকিলিকিস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে মুক্তভাবে চলাফেরার অনুমতি এবং ব্রিটিশ-মার্কিন দাপটে ‘অবরুদ্ধ জীবন’ কাটাতে বাধ্য হওয়ায় উল্টো তাকে ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছে জাতিসংঘের বিশেষ প্যানেল।তবে জাতিসংঘের এই সিদ্ধান্তে কিছুই আসে যায় না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর।
জাতিসংঘ প্যানেলের এই রায়কে ‘হাস্যকর’ বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড। তিনি বলেছেন,‘ অ্যাসাঞ্জ বিচার থেকে পালানো একজন ফেরারী’।
বিবিসি’র বিশ্লেষকদের মতে ,জাতিসংঘের এই রায় যুক্তরাজ্যের জন্য আইনি কোনো বাধা নয়। তবে নি:সন্দেহে এটা অ্যাসাঞ্জ সমর্থকদের বড় বিজয়।
৫ সদস্যের জাতিসংঘ প্যানেলে রায় আন্তর্জাতিকভাবে আলাদা গুরুত্ববহন করে। আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে বিশেষ ব্যক্তিদের আটকের বিষয়টির বৈধতা নিয়ে ১৯৯১ থেকে কাজ করছে এই প্যানেল। ব্রিটিশ কোর্টে একাধিক আপিল হেরে গেলেও এবার তাই অ্যাসাঞ্জ একটি শক্তিশালী সহায়ক শক্তিকে পাশে পেলেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
২০১০ সালে কয়েক লাখ মার্কিন গোপন নথি ফাঁস করে উইকিলিকস হইচই ফেলে দেয় বিশ্বজুড়ে। তখন থেকেই বিশ্বব্যাপী আলোচনায় উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ওই বছরেই যৌন হয়রানির অভিযোগে সুইডেনে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা হয়।গ্রেফতার এড়াতে ২০১২তে লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নেন।
তার আহ্বানেই ২০১৪ সালে জাতিসংঘ ‘ইউএন ওয়ার্কিং গ্রুপ অন অর্বিট্রেরি ডিটেনশন’ প্যানেল তদন্ত শুরু করে।জাতিসংঘের রায় তার বিরুদ্ধে গেলে ব্রিটিশ পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন উইকিলিকস এর প্রতিষ্ঠাতা। এক টুইট বার্তায় অ্যাসাঞ্জ জানান, মামলায় হেরে গেলে স্থানীয় সময় দুপুরে লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাস থেকে বেরিয়ে আসবেন তিনি।
কিন্তু জাতিসংঘ প্যানেলের ৫ সদস্যের মধ্যে ৩ জনের রায়েই নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন তিনি। এবার চরম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে যুক্তরাজ্য ও সুইডেন।