বিশ্বকাপের আসর থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটমহলে একাধিকবার আলোচনায় উঠে এসেছে ভুল আম্পায়ারিং। একের পর এক আম্পায়ারদের ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হয়েছেন ক্রিকেটাররা। যার কারণে প্রভাব পড়েছে ম্যাচের ফলাফলেও। বাদ যায়নি বিশ্বকাপ ফাইনালও।
ওভার থ্রো’তে পাঁচ রানের পরিবর্তে ইংল্যান্ডকে কুমার ধর্মসেনার ছয় রান উপহার দেয়া নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কম হয়নি। অত্যন্ত নিম্নমানের আম্পায়ারিংয়ের ধারা বিশ্বকাপ পরবর্তী সময়েও বজায় রইল।
ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশেজ সিরিজ দিয়ে শুরু হয়েছে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। প্রথম টেস্টের প্রথম দিনেই কাঠগড়ায় দুই আম্পায়ার আলিম দার ও জোয়েল উইলসন। দুজনে মিলে অন্ততপক্ষে সাতটি ভুল সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রথম দিনেই। যা নিয়ে ক্রিকেটমহলে রীতিমতো ঝড় উঠেছে।
বিশেষজ্ঞরা অনেকেই আম্পায়ারিংয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। যার মধ্যে আছেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ ও অ্যাশেজ জয়ী অধিনায়ক রিকি পন্টিও।
ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে স্টুয়ার্ট ব্রডের প্রথম বল ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটকিপার জনি বেয়ারস্টোর হাতে গেলেও আম্পায়ার আলিম দার আবেদন নাকচ করেন। পরে টেলিভিশন রিপ্লেতে আল্ট্রাএজ প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেখা যায় আউট ছিলেন ওয়ার্নার।
চতুর্থ ওভারে ব্রডের পঞ্চম বল ওয়ার্নারের প্যাডে গিয়ে লাগে। আঙুল তুলে দেন আলিম দার। রিভিউ না-নিয়ে সাজঘরের পথে হাঁটা লাগান ওয়ার্নার। টেলিভিশন রিপ্লেতে দেখা যায় বল লেগ-স্ট্যাম্প ছাড়িয়ে যাচ্ছিল।
একই রকম ঘটনা ঘটেছে ক্রিস ওকসের বলে উসমান খাজার আউট নিয়ে। প্রথমে আউট দেননি আম্পায়ার উইলসন। রিভিউ নিয়ে আউট পান ইংলিশরা।
অজিদের টপ স্কোরার স্টিভ স্মিথকে আম্পায়ার আলিম দার এলবিডব্লু আউট দেন। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান স্মিথ। ম্যাথু ওয়েডকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন ওকস। আম্পায়ার উইলসন আউট দেননি। জো রুট রিভিউ নিলে সিদ্ধান্ত ইংল্যান্ডের অনুকূলে যায়।