ট্যাংক বিস্ফোরণে ছড়িয়ে পরা অ্যামোনিয়া গ্যাসে অসুস্থদের অবস্থা এখন ভালো, তারা সুস্থ হয়ে উঠছে। রোগী আসার পরিমাণও কমে আসছে। স্থানীয় ঘরবাড়িগুলোর দরজা-জানালা খোলা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন সিভিল সার্জন। আক্রান্তদের বেশি করে পানি এবং শিশুদের বেশি করে দুধ খাওয়াতেও বলেন তিনি।
সোমবার রাত ১০ টায় চট্টগ্রাম ডিএপি সার কারখানার ড্যাব প্ল্যান্টের ৫ হাজার টন ধারণ ক্ষমতার অ্যামোনিয়া ট্যাংকে বিস্ফোরণে অ্যামোনিয়া গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের এলাকায়। এই গ্যাস দক্ষিণের বাতাসে উত্তর দিকে কাফকো, কর্ণফুলী নদী, পতেঙ্গা নেভাল, ১৫নং, বিমান বন্দর, বিজয়নগর, স্টীল মিল বাজার, কাটগড়, আগ্রাবাদ সহ কয়েক কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, রোগীদের অবস্থা ভালো আছে এবং তারা সুস্থ হয়ে উঠছে। হাসপাতালে রোগী আসার হারও এখন কমে গেছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, রোগীদের কাছে প্রয়োজনীয় সকল ওষুধ সরবরাহে যাতে কোন বাধা না থাকে, সেবিষয়েও কর্তৃপক্ষ সচেতন। যারা আছে তাদেরকে ভালোভাবে ম্যানেজ করা হচ্ছে। আমরা আশাবাদী যে আমাদের রোগীদের কোন অসুবিধা হবে না।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকি বলেন, অ্যামোনিয়ার কনসেন্ট্রেশন যত বেশি থাকে তত নাক মুখ দিয়ে ঢুকে ফুসফুসের ইনজুর হয়, এআরডিএস ডেভেলপ করে। যত দূরে যায় এটা হালকা হয়ে যায় ক্ষতির পরিমাণ কমে যায়। ওই এলাকার দরজা জানাল বন্ধ না রেখে খোলা রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
কেউ আক্রান্ত হলে করণীয় সর্ম্পকে তিনি বলেন, কেউ আক্রান্ত হলে তাকে বেশি পরিমাণে পানি খাওয়াতে হবে এবং ছোট বাচ্চার ক্ষেত্রে বেশি করে দুধ খাওয়াতে হবে।
ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট পানি ছিটিয়ে রাত ৩টার দিকে অ্যামোনিয়া গ্যাস নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে আনে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।