কৃত্রিম সংকট তৈরি করে চালকল মালিক এবং ব্যবসায়ীরা চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে; এমন অভিযোগের পরই দেশের বিভিন্ন জেলায় মজুদদারদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু হয়েছে। পাশাপাশি বাজার স্থিতিশীল রাখতে খোলাবাজারে চাল বিক্রি শুরু করেছে সরকার।
অস্থির চালের বাজারের জন্য দেশের ১০ চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীদের দায়ী করেছেন ক্ষুদ্র চালকল মিল মালিকরা। তারা বলছেন, বন্যা ও দুর্যোগের সুযোগ নিয়ে মৌসুমের শুরুতেই তারা কম দামে দেশের বেশির ভাগ ধান কিনে মজুদ গড়ে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন।
গত কয়েক দিনে কুষ্টিয়া, নাটোর, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলার চালকলে অভিযান চালানো হলেও তা যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। মজুদ করা গুদাম চিহ্নিত করে অভিযান চালানোর দাবি তাদের।
সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে এবার বোরো মৌসুমে বন্যায় ব্যাপক ফসলহানী হয়েছে। ফলে ধানের সংকট রয়েছে জেলায়। এরইমধ্যে চালের মূল্যবৃদ্ধিতে দিশেহারা মানুষ।
চালের দামের পাগলা ঘোড়ার লাগাম টেনে ধরতে নওগাঁ রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় খোলা বাজারে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। ৩০ টাকা কেজি মূল্যে প্রত্যেককে সর্বোচ্চ ৫ কেজি করে চাল দেয়া হচ্ছে। ক্রেতাদের মধ্যে ওএমএস এর চাল সরবরাহ স্বস্তি এনেছে।
দেশের ধান ও চালের বাজার সিন্ডিকেট মুক্ত করতে বড় মিল মালিকদের ব্যাংক লোন দেয়ার ক্ষেত্রে কঠোর শর্তারোপ, নজরদারি বাড়ানো এবং ছোট মিল মালিকদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি চাল ব্যাবসায়ীদের।