চারদিক চা বাগান আর আদিবাসী পল্লীবেষ্টিত আড়াইশো হেক্টর আয়তনে সমৃদ্ধ হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান। বিরল ২শ’ প্রজাতির উদ্ভিদ আর ২শ’ প্রজাতির পশুপাখির চমৎকার এক জীববৈচিত্র্য সম্পূর্ণ এই উদ্যানটি। তবে উদ্যানের ভেতর থেকে কয়েক দফা বিপুল পরিমান অস্ত্র উদ্ধারের পর থেকে পর্যটক শুন্য হয়ে পড়েছে উদ্যানটি।
সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এর ঘনত্ব। প্রাকৃতিক পাহাড়ি বনভূমি সংরক্ষণের লক্ষ্যে ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় এই উদ্যানটি। ক্রান্তীয় মিশ্র চিরহরিৎ এই বনভূমিতে তিন স্তরে ২০৮ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। আছে ১৯৭ প্রজাতির পশুপাখি। নয়নাভিরাম এই উদ্যানটি ঘুরে দেখতে আধ ঘণ্টা, এক ঘন্টা ও তিন ঘন্টার পায়ে হাঁটতে হয়। তবুও যেন এই প্রাকৃকিত সৌন্দর্য দেখার লোভ সামলাতে পারেন না বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পর্যটকরা।
পর্যটক আকর্ষণের নয়নাভিরাম এই উদ্যানের ভেতর থেকে গত বছর কয়েক দফায় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে র্যাব। গোপন বাংকার থেকে মেশিনগান, রকেট লঞ্চার, এলএমজি, এসএমজি, অটোরাইফেলসহ অস্ত্র উদ্ধার করা হয় সাড়ে তিনশো। গুলি ২৪ হাজার রাউন্ড। এরপর থেকে কমে গেছে পর্যটকের সংখ্যা।
সাতছড়ির স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এই উদ্যানটি প্রত্যেক পর্যটকদের জন্য নিরাপদ করতে জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন এবং স্থানীয় জনগণদের নিয়ে আমরা কাজ করছি। সবাই এক হয়ে জাতীয় এই উদ্যানটি রক্ষা করারও আহবান জানান তিনি।
তবে অনেক পর্যটকেরা নিরাপত্তার কারণে সাতছড়ির উদ্যানটির নয়নাভিরাম রুপ দেখার সুযোগ হারাতে চান না। তারা বলেন, নিরাপত্তার আড়ালে যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের উদ্যানটি যেন তার প্রকৃত রূপ না হারায়।