আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং মানবাধিকার ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই মানবাধিকার রক্ষায় সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউতে এমজেএফ আয়োজিত ‘মানুষের জন্য মানবাধিকার পদক-২০২০’ শীর্ষক সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, নারী নির্যাতন বন্ধে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে অঙ্গীকারবদ্ধ। মানবাধিকার রক্ষায় দেশের এনজিওদের সব ধরনের কর্মকাণ্ডে সরকারের সহযোগিতা ও সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
স্বাগত বক্তব্যে এমজেএফের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন: নারীদের প্রতি সহিংসতা, বাল্য বিবাহ এবং বিশেষ গোষ্ঠীর অধিকার লঙ্ঘনের বিদ্যমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এই ১০জন নারী এবং পুরুষ সঠিক অবস্থান গ্রহণ করেছেন। কোন পুরস্কার বা স্বীকৃতির আশা না করেই একটি ন্যায্য ও মানবিক সমাজ গঠনের জন্য তারা নিরলস কাজ করছেন।
ডিএফআইডি বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ জুডিথ হারবার্টসন তার বক্তব্যে বলেন : “মানবাধিকার রক্ষা, প্রসার ও জোরদার করার লড়াইটি বাস্তব এবং সার্বক্ষণিক । যেখানে মানবাধিকার যথাযথভাবে সুরক্ষিত নয়, সেখানে নিরাপত্তাহীনতা, অস্থিতিশীলতা, দুর্দশা এবং দারিদ্র্যের একটি চক্র বিরাজ করে। মানবাধিকার আন্তর্জাতিক আইনে অন্তর্ভুক্ত নীতিমালার চেয়ে আরও বেশি কিছু।সফল এবং প্রগতিশীল সমাজের ভিত্তিই হল মানবাধিকার।’’
দরিদ্র, দুর্বল, সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী, বিশেষতঃ নারী ও শিশুদের প্রতি সর্বোচ্চ বাজেট বরাদ্দ ও তাদের সকলের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিতের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিরাজমান মানবাধিকার পরিস্থিতির সামগ্রিক উন্নতি সাধনের জন্য সরকারের প্রতি জোরালো আহবান জানিয়েছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) সহ শতাধিক এনজিও।
এমজেএফের গভর্নিং বোর্ড’র সদস্য পারভীন মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন হাই কমিশন অফ কানাডা প্রথম সচিব, ডেপুটি হেড অফ মিশন এ্যান্ড হেড অফ কোঅপারেশন, সিডা, ক্রিসটিন জোহানসন, কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ, ডিএফআইডি, বাংলাদেশ জুডিথ হার্বাটসন, বিশিষ্ট মানবাধিকার নেত্রী এডভোকেট সুলতানা কামাল,এবং মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব), এনজিও বিষয়ক ব্যুরো জনাব কে. এম. আব্দুস সালাম।
মানবাধিকার রক্ষার এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে একান্তে কাজ করে যাচ্ছেন এমন নিভৃতচারী ৪৭ জন মানবাধিকার কর্মীর তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে এবং এক বিজ্ঞ বিচারকমণ্ডলী চূড়ান্তভাবে ১০ মানবাধিকার কর্মীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।